ডেক্সগু সহ মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে পাবনায় আজ থেকে শুরু হয়েছে মশক নিধন অভিযান। বিকেলে পৌরসভার উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে এ কাজের উদ্বোধন করেন পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ খাইরুল কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ও পাবনা পৌরসভার কোনজারভেন্সি অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান। এ কার্যক্রমের আওতায় আজ আব্দুল হামিদ রোড, টাউন হলপাড়া, শান্তিনগর, শহীদ চত্বর, নিউ মার্কেট, বুলবুল কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, মহিলা কলেজ, পুলশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, সার্কিট হাউস, র্যাব ক্যাম্প, এনএসআই অফিস, সদর থানা পুলিশ ফাড়ি, পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভির সার্জন অফিস, আলিয়া মাদ্রাসা, পাবনা মেডিকেল কলেজ, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মশার ঔষধ ছিটিয়ে মশা নিধন করা হয়। পর্যায়ক্রমে পাবনা পৌরসভার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মশা নিধন করা হবে এ অভিযানের আওতায়।
প্রবাসে অবস্থানরত এক বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে বিয়ে হওয়ার পর স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১২-১৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়েছেন স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (২২)। এই ঘটনায় পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের প্রবাসী শিহাব উদ্দিন রাঙা (৩৫) ও একই উপজেলার সঞ্জয়পুর গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে রোকেয়া খাতুনের মধ্যে প্রায় দুই বছর আগে ভিডিও কলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রোকেয়া স্বামীর বাড়িতে না থেকে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করতেন।
রাঙার পরিবার জানায়, বিয়ের পর থেকে রোকেয়ার ভরণপোষণ, বাবার জন্য রিকশা-ভ্যান কেনা, মাসিক হাতখরচ এবং গহনা উপহারসহ প্রায় ১২-১৩ লক্ষ টাকার ব্যয় বহন করেন রাঙা। আটঘরিয়া বাজারের নীলা জুয়েলার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র কর্মকার জানান, রাঙার নির্দেশে রোকেয়ার জন্য সোনার চেইন, নাকফুল, রিং ও রুপার গহনা তৈরি করে দেওয়া হয়, যার মূল্য রাঙা বিদেশ থেকে পরিশোধ করেন।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী, এর আগেও ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর রোকেয়া একইভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন ১ লক্ষ টাকা খরচ করে তাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে আনা হয়। বর্তমানে আবারও তিনি একইভাবে উধাও হয়েছেন। রোকেয়ার স্বামী রাঙা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছেলের পরিবার থেকে দেওয়া গহনাদি ও অন্যান্য উপহার ফেরত চাইলে তারা বিরূপ আচরণ করে এবং গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাঙার ভাই রবিউল ইসলাম জানান, “ভাই ফোন করে বললো, রোকেয়া ফোন ধরছে না। গিয়ে দেখি সে পালিয়েছে। প্রথমবার মামাতো ভাই জ্যাকি গিয়ে খুঁজে পায়। পুলিশ দিয়ে আনলেও ৫-৬ দিন পর আবার পালিয়ে যায়।”
রোকেয়ার স্বামীর বোন রেবেকা সুলতানা বলেন, “আমার ভাই আমাকে গহনা ফেরত আনতে পাঠায়। আমি গেলে তারা বলে, প্রমাণ আছে কি? আমরা বলি, সবকিছুর প্রমাণ আমাদের আছে। তবুও কিছু ফেরত দেয়নি।”
স্বামীর পরিবারের অভিযোগ, রোকেয়া এর আগে ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন যেখানে তিনি লিখেন—“আমি প্রবাসী বাংলাদেশিকে বিয়ে করতে চাই, আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।” এই বিজ্ঞাপন থেকেই রাঙার সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে ইমুতে প্রেম, তারপর ভিডিও কলে বিয়ে।
রোকেয়ার বাবা রিপন মিয়া বলেন, “রাঙা ভিডিও কলে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। সে দেশে আসেনা। এখনআমার মেয়ের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। সে আমার জীবন থেকে মরে গেছে। সে কোথায় আছে জানি না। যেসব জিনিসপত্র পাঠিয়েছে, সেগুলো খরচ হয়ে গেছে, ফেরত দিতে পারবো না।”
তবে প্রথমবার পালিয়ে যাওয়ার সময় রিপন মিয়া নিজেই আটঘরিয়া থানায় অভিযোগ করেন—রোকেয়া ৩ লক্ষ টাকা নগদ ও দেড় লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে।
রোকেয়ার দাদা আজিজুল হক বলেন, “বিয়ে দিয়েছে কিন্তু তিন বছরেও দেশে আসেনি। পাঁচবার পালানোর চেষ্টা করেছিল, আমি ঠেকাইছি। এবার আমি চাটমোহরের হাটে গিয়েছিলাম, এসে দেখি চলে গেছে।”
বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে, রোকেয়া আবারও সেই আগের প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়ে গিয়েছেন, যদিও তার নাম-ঠিকানা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোকেয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এবারে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
~
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপির সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এস এম আদনান উদ্দিনসহ কিছু সন্ত্রাসী। গত বছরের ৫ আগস্টের আগেও যারা আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে চালাত চাঁদাবাজি ও নির্যাতন। এখনো কিছু অসৎ বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় পুনরায় শুরু করেছে তৎপরতা। চাঁদা না দিলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি-ধমকি। তাতেও কাজ না হলে ভাঙচুর করা হচ্ছে ব্যবসা প্রতিস্ঠান, দোকান ও বাসাবাড়ি। এমনকি বাদ যাচ্ছে না স্থানীয় পত্রিকা অফিসও। অবাক করার বিষয় হচ্ছে—সবকিছু জানার পরও প্রশাসন রয়েছে নীরব। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হুমকি ও চাঁদার হাত থেকে বাদ যাচ্চে না জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও।
হিন্দু ধর্মের সিমা রানী নামের এক ভুক্তভোগী জানান, বিএনপির সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য এব ভুয়া পত্রিকা দৈনিক পাবনার চেতনা নির্বাহী সম্পাদক এস এম আদনান উদ্দিন সাংবাদিক আমাদের পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে সে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়, বলে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। না দিতে পারলে আমার প্রতিবেশিকে দিয়ে আমার নামে মামলা করাবে বলে হুমকি দেয়। আমি গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাবো। আমার এখন আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নাই।
ভুক্তভোগী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা সিরাজুম মনিরা জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আদনান আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, আদনানের কাছে আমার কিছু গোপন তথ্য, ভিডিও , ছবি আছে। আদনানকে চাঁদার টাকা না দিলে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় পরে আমি তার দাবি কৃত টাকা দিতে অস্বীকার হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে পরে আমি পাবনা সদর থানায় চাঁদা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, আদনানকে চাঁদা না দেওয়ায় একাধিকবার আমার দোকানে হামলা হয়েছে। এখন আমরা চুপ থাকাই ভালো মনে করছি।
ড্রিম প্যালেস হোটেলের ম্যানেজার মনিরুজ্জামান জানান, সাংবাদিক আদনানকে চাঁদার টাকা না দেওয়াই আমাদের হোটেলটি ভাঙচুর করে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি
সাধন করে এসব দুষ্কৃতিকারীরা। এখনো চাঁদার জন্য প্রতিনিয়তই হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন চাঁদাবাজ আদনান। তাছাড়াও মিথ্যা আজেবাজে নিউজ করার হুমকি দেয় এ বিষয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন আইনি সহযোগিতা পাইনি আমরা।
খবর বাংলার সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সালাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পুলিশ/সাংবাদিক সবাই মনে হয় একটা ভয়ের মধ্যে থাকে আদনানকে নিয়ে, যে কখন আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে মিথ্যা তথ্য ছড়ায়ে সবার সন্মানহানি করে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত এস এম আদনান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জনানা, চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিষয়ে এস এম আদনানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থা থেকে মরহুম আজিমউদ্দিনের দায় দেনা সম্পূর্ন পরিশোধ করার পরেও এই বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা ভাবে অপপ্রচার করে এস এম আদনান উদ্দীন কোনরকম প্রমান ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাহফুজ আলী কাদেরীর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক অর্থ দাবী করে আসছে, যে বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইতিমধ্যে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার, এবং পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট সকল
প্রাতিষ্ঠানিক দালীলিক প্রমানসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। মুলত, মরহুম আজিমউদ্দিনসহ যে চারজন ব্যাক্তি ২৮/৭/২০১৪ তে দুর্ঘটনায় মৃত্যবরন করেছিল,ওই সময়ে এই চার পরিবারকে মোটা অংকের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এখানে উল্লেখ্য, মরহুম আজিমউদ্দিন প্রতিষ্ঠানে একজন মাঠ পযার্য়ের স্টাফ হিসেবে ১৯৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতেন, তারপরে এএসকেএস এনএসডিপি এবং USAID প্রকল্পে ২০০০ সাল এবং ২০০২-২০০৩ সাল পযন্ত সিনিয়র সার্ভিস প্রমোটর (বেতন ৪১২৫ টাকা) এবং সার্ভিস প্রমোশন অফিসার (৪২০০ বেতন টাকা) হিসেবে প্রকল্প ভিত্তিক মাঠ পযার্য়ের কাজ করতেন। এর পরে প্রকল্প শেষে ০১.১০.২০০৩ সাল হতে ২৮/০৭/২০১৪ পযন্ত অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থায় সরাসরি কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে ৪২০০ টাকা বেতনভুক্ত মাঠপযার্য়ের কর্মচারী থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পদ পদবীতে উন্নীত হয়ে সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক পদে নিযুক্ত ছিলেন তখন তার সর্বশেষ বেতন ছিল ২৭১৪০ টাকা । মরহুম আজিমউদ্দিনের যোগদানকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রাচুইটি দেবার কোন নিয়ম ছিলনা
এবং তাহার যোগদান পত্র অনুযায়ী পরিস্কার ভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের কথা উল্লেখ থাকলেও কোনরকম গ্রাচুইটি দেবার কথা উল্লেখ নেই কারন ওনার চাকুরীকালীন সময়ে গ্রাচুইটি দেবার নিয়ম প্রতিষ্ঠানে ছিল না। উল্লেখ্য যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়মের বাইরে গিয়ে কখনই কোন দালীলিক প্রমান ছাড়া শর্তহীনভাবে কাউকে গ্রাচুইটি দিতে পারেনা, এটা সম্পুর্ন বেআইনী এবং যারা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম আর কোন রকম কাগজপত্রের প্রমান ছাড়াই প্রতিষ্ঠান থেকে কোন কিছু মৌখিক ভিত্তিতে দাবী করবে তাড়াও আইনের কাছে অপরাধী হিসেবে গন্য হবে। উল্লেখ্য, মরহুম আজিমউদ্দিন তার চাকুরীকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাহার প্রভিডেন্ট ফান্ড হতে ৯০০০০ টাকা লোন নিয়েছিলেন, সেই টাকার অবশিষ্ট অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ মাফিক বাকী অবশিষ্ট পিএফ এর টাকা তার বড় সন্তান এস এম আদনানের আবেদনের ভিত্তিতে মরহুম আজিমউদ্দিনের স্ত্রী শাহানারা পারভীন এবং তার ছোট ছেলের হাতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পিএফের পাওনা টাকা চেক( চেক নং 0478762) তুলে দেওয়া হয়। সুতরাং এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি প্রতিষ্ঠানের দালীলিক প্রমানপত্র, নথী, ব্যাংক স্ট্রেটমেন্ট, মরহুম আজিমউদ্দিনের যোগদানপত্রের শর্ত মাফিক প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি
মেনে সম্পুর্ন করা হয়েছে। এ সকল প্রমান প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত রয়েছে যাহার কপি জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আবেদন পত্রের সহিত সংযুক্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।সুতরাং, মাহফুজ আলী কাদেরী সাথে মরহুম আজিমউদ্দিনের দায় দেনা প্রদানের কোন সম্পর্ক নেই কারন তিনি ২০১৫ সাল থেকে অনন্যর কোন প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রমের সাথে আইননত ভাবে সম্পর্কে যুক্ত নয়।
এতে প্রমানিত হয় যে, এস এম আদনান উদ্দীন তার মরহুম পিতার নামে কোন রকম দালিলিক প্রমান ছাড়াই সম্পুর্ন অসৎ ও দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা অপপ্রচার করছে,এবং অন্যায় ভাবে টাকা দাবী করছে, যেটা চাঁদাবাজীর সামীল, ইতি মধ্যে এস এম আদনান উদ্দিনগং দের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি সকলের সদয় অবগতি ও মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য উপস্থাপন করা হলো।
অনন্য সমাজ সংস্থার পক্ষে
সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার
আব্দুস সাত্তার শিপলু
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় হাতে ও পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় পায়েল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে উপজেলার বেতগাড়া রাঙ্গার মোড় এলাকায় নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পায়েল মিয়া ওই এলাকার আত্তাব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে পায়েলের মরদেহ প্রথমে তার পরিবার দেখতে পায়। পরে তারা থানায় খবর দিরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়,পায়েল দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলো। এজন্যই তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়,মৃতদেহের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে হাতে-পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় কিভাবে একজন ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে,তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানিয়েছেন,পায়েলের পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগকে ঘিরে নৈরাজ্যের আশঙ্কায় দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধভাবে সহিংসতা ও উসকানিমূলক প্রচারণার আশঙ্কায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) এসবির পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনার, সিটি এসবি, বিভাগীয় উপপুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারদের কাছে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে। এই সময়ে আওয়ামী লীগ গোপনে হামলা-ভাঙচুর কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে বলে পুলিশের আশঙ্কা।
এ অবস্থায় সব ইউনিটকে নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর নজরদারি, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার এবং সাইবার গোয়েন্দা কার্যক্রম তীব্র করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দর এলাকায় টহল ও মোবাইল পেট্রোল বাড়ানোর নির্দেশ রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারদের নিজ নিজ অঞ্চলে বাড়তি নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা আগে থেকেই প্রতিহত করা যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কিছু যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলেও ‘ভার্চুয়াল স্কোয়াড’ গড়ে তুলে ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ইউটিউবে সামাজিক অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো চক্রান্ত কঠোরভাবে দমন করা হবে। যারা দেশে ও বিদেশে বসে সামাজিক অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাটমোহর প্রতিনিধি:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিশু ছাত্রী ধ/র্ষ/ণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে এবং চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনজুরুল আলম জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড় শালিখা গ্রামের ১৩ বছর বয়সী (স্থানীয় একটি হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী) এক শিশুকে মুখে গামছা বেঁধে গুনাইগাছা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ শাহিন হোসেন (৩৫) তার ছোট ভাই সেলিম হোসেনের ঘরে নিয়ে ধ/র্ষ/ণ করে।
এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় বুধবার ২০০০ সালের নারী ও শিশু নি/র্যা/তন দমন আইনে (সংশোধিত-০৩) ৯ এর (১) ধারায় একটি মামলা রেকর্ড (নং ১১) করা হয়েছে।
ধ/র্ষ/নের শিকার ওই শিশুকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন , ধ/র্ষ/ক শাহীনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। জানা গেছে, সোমবার (২১ জুলাই) বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের সলো ফ্লাইট ট্রেনিং। উড়ালের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে সমস্যা আঁচ করেন তিনি । বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন কন্ট্রোল রুমেও।
জানা গেছে, সলো ফ্লাইট ট্রেনিং হলো একজন পাইলটের ট্রেনিংয়ের সর্বশেষ ধাপ। ফাইটার জেট অপারেট করার জন্য একজন পাইলট যে হাই স্কিল্ড, সেটি’ই প্রমাণিত হয় সোলো ফ্লাইটের মাধ্যমে। ট্রেনিংয়ের এপর্যায়ে পাইলটকে নেভিগেটর বা কো-পাইলট বা কোনো প্রকার ইন্সট্রাক্টর ব্যতীত একাই ফ্লাইট অপারেট করতে হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির আজ সেরকমই একটি ট্রেনিং ফ্লাইট অপারেট করছিলেন।বিশেষজ্ঞরা জানান, যেকোনো
প্রকার ট্রেনিং ফ্লাইট সিভিলিয়ান এরিয়া থেকে দূরেই হয়ে থাকে, তবে সলো ফ্লাইট সাধারণত আর্বান এরিয়াতেই হয়ে থাকে৷ আর আর্বান এরিয়াতে এ ধরণের সেন্সিটিভ ফ্লাইট অপারেট করার জন্য পাইলটকে যথেষ্ট কোয়ালিফাইড হতে হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির তেমনই একজন পাইলট। ট্রেনিংয়ের লক্ষ্যে তৌকির তার এফ-৭ বিমান নিয়ে কুর্মিটোলা পুরাতন এয়ারফোর্স বেস থেকে টেক অফ করেন। এরপর উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা’র আকাশজুড়ে তিনি উড়তে থাকেন।তারা আরও জানান, তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে কিছু সমস্যা আঁচ করেন তৌকির। কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করে জানান যে তার বিমান আকাশে ভাসছে না, মনে হচ্ছে বিমান নিচের দিকে পড়ে যাচ্ছে। কন্ট্রোল রুম থেকে ইন্সট্যান্ট রেসপন্স করে ইজেক্ট করার জন্য জানানো হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির শেষ মুহূর্ত অব্দি চেষ্টা করেছেন বিমান বাঁচানোর জন্য। তিনি বিমানটির সর্বোচ্চ ম্যাক স্পিড তুলে বেসের দিকে ছুটতে থাকেন। এর মধ্যেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে পাইলটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার ঠিক এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হয়।
পাবনার দৈনিক পাবনার চেতনা নামের একটি স্থানীয় দৈনিকের বিতর্কিত সাংবাদিক, একাধিক চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, হুমকিধামকি ও মানহানিকর ঘটনার অভিযুক্ত ও দেশের প্রচলিত আইনে মামলার আসামী এসএম আদনান উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ভুক্তভুগি মহল। গত ১৫ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে প্রচারিত দৈনিক পাবনার চেতনার সাংবাদিক এসএম আদনান উদ্দিন সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন তার বাবা মরহুম আজিম উদ্দিন অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থায় ১৯ বছর কর্মরত ছিলেন বিষয়টি মিথ্যা সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী তার বাবার যোগদানের তারিখ ০১.১০.২০২৩ ইং এবং তার কর্মকাল ১০ বছর ০৯ মাস ২৭ দিন। তিনি আরো উল্লেখ করেন তার বাবা মৃত্যুবরন করার পর তার বাবার চাকুরী কালীন সময়ের পাওনা জনাব মাহফুজ আলী কাদেরীর কাছে গেছেন এবং মাহফুজ আলী কাদেরী গড়িমুসি করে এবং তাদের হক থেকে বঞ্চিত করেন এটা সম্পর্ন বানানো মন গড়া কথা। উল্লেখ্য মাহফুজ আলী কাদেরী অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থার কোন কার্যক্রম পরিচালনার কর্তৃপক্ষ নন তিনি বিগত ২০.০৬.২০১৫ ইং তারিখে গভর্নিং বডির সভায় তার শারীরিক অসুস্থতার কারনে নির্বাহী পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাহী পরিচালকের নিকট দায়িত্ব যথাযথ আইনি পক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর করেন যাহা নোটারী পাবলিক, পাবনা, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত বিদায়ী নির্বাহী পরিচালকের ছাড়পত্রের হলফনামা অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। মরহুম আজিম উদ্দিনের চাকুরীকালীন সময়ের সমুদয় পাওনা টাকা বিগত ২০.০৮.২০২৩ ইং তারিখে সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে তার স্ত্রী মোছাঃ শাহানারা পারভীন, আইএফআইসির একটি একাউন্ট- পে চেক গ্রহন করেন মরহুম আজিম উদ্দিনের স্ত্রী একাউন্ট নম্বর ০৯৪১১২০০১১২৭৯, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিঃ. পাবনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ও মোছাঃ শাহানারা পারভীন এর আপন ভাই ও অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাবেক এরিয়া ম্যানেজার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। এস এম আদনান উদ্দিন আরো প্রচার করেন জনাব মাহফুজ আলী কাদেরী সংস্থা থেকে ৩৭ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেন বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট মিথ্যা ভিত্তিহিন। মাহফুজ আলী কাদেরী সংস্থার দায়িত্ব অনেক আগে ছেড়ে দিয়েছেন। সংস্থার কোন দায়িত্বে না থেকে কোন ব্যক্তি ৩৭ কোটি টাকা আত্নসাৎ করতে পারেন না এবং সংস্থার এ ধরনের কোন তথ্য উপাত্ত কখনোই প্রমানিত হয়নি। এখানে সংস্থার টাকা আত্নসাৎ করেছেন মূলত সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ লিয়াকত, সাবেক উপ-পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ও অন্যান্য ব্যক্তি। সংস্থা কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে পাবনা জর্জ কোটে মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়ার মরহুম আজিম উদ্দিনের আপন ভাতিজা ও এসএম আদনান উদ্দিনের চাচাতো ভাই মোঃ বাবুল আক্তার প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে আত্নসাৎ করেন বর্তমানে বাবুল আক্তারের নামে পাবনা জজ কোর্টে সংস্থা কর্তৃক মামলা চলমান রয়েছে। অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থা ১৯৮৩ সাল থেকে পাবনা জেলায় অতি সুনামের সহিত বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে এবং ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পুরস্কার সহ ১৮ টি পুরস্কার গ্রহন করেছেন। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সংস্থার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে যেটা খুবি দু:খজনক। যে বা যারা অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে সংস্থা কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে দৈনিক পাবনার চেতনা পত্রিকার সাংবাদিক এস এম আদনান উদ্দিন যে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং এ বিষয়ে সকল প্রমান সহ সংস্থা থেকে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
বরনা খাতুন
নির্বাহী পরিচালক অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থা
আটঘরিয়ার একদন্ত ইউনিয়নের ষাটগাছা গ্রামের মৃত, তুরাব আলীর ছেলে রিপন, বিভিন্ন সময় এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র সাপ্লাই,মাদক বিক্রির সাথে জড়িত বলে জানা যায় ! এই অস্ত্র মামলার আসামি রিপন,সারাদিন এলাকায় তান্ডব চালিয়ে সন্ধ্যা লাগলেই ভর করে পাবনা শহরে ভাড়া বাসায়।
আরো অভিযোগ উঠেছে,ষাইটগাছা গ্রামের আব্দুল হাই এর মাধ্যমে রিপন কম্বোডিয়াতে যান। কম্বোডিয়াতে গিয়ে কনস্ট্রাকশন এর কষ্টের কাজ করতে না পেরে একই গ্রামের কম্বোডিয়াতে অবস্থানরত মেহেদীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের চলে আসেন।এবং এসে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, যার মোকাদ্দমা নং-৭৭/২৪। মামলা দেয়ার পরেও পাবনা শহর থেকে গুন্ডা ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে মামলার আসামি রফিকুল ইসলামের বাড়িতে চাদাবাজি করার উদ্দেশ্যে যায় এবং অস্ত্র সামনে জিম্বি করে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়,যার ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কম্বোডিয়াতে অবস্থানরত একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম,রুহুল আমিন খোকন,নওশের ইসলামসহ বেশ কিছু প্রবাসীরা জানান, কম্বোডিয়াতে কাজ করলে টাকা আছে কাজ না করলে টাকা নাই। কনস্ট্রাকশন এর কাজ অনেকেই করতে পারে অনেকেই পারে না,৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন তুলি আমরা প্রতি মাসে। রিপন, মেহেদী এবং রুবেল, ঠিকমত কাজ না করে শুধু মদ খেয়ে বেড়াতো,সাইডে থাকা সুপারভাইজারদের সাথে খারাপ আচরণ করতো।পরে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে বাংলাদেশে চলে যায় । যাদের মাধ্যমে কম্বোডিয়াতে এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমরা সবাই খুব ভালো আছি এবং মাস গেলেই বাড়িতে টাকা পাঠাচ্ছি।
ষাইটগাছা গ্রামের এলাকাবাসী জানান,আমরা আগেই জানতাম, এই কয়েকজন বিদেশ যাইয়ে থাকতে পারবে না, বিদেশ সবাই করতে পারেনা। এখন এসে এলাকার নেতাদের লিয়ে টাকা তোলার জন্য নাটক সাজাইছে। ওদের সাথে আরো মানুষ গেছে একসাথেই কাজ করতো, তারা তো ঠিকই টাকা পাঠাচ্ছে। এলাকাবাসী এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
একদন্ত ইউনিয়নে যাত্রাপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, রিপনের বাবা তুরাব আলী,নকশাল ছিলেন, এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করতো। বিভিন্ন সময়ে মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে তুরাব আলী কে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরে তুরাব আলী তার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বাড়ি করে থাকেন। তুরাব আলীর ছেলে রিপন ও তুরাব আলীর মতোই সন্ত্রাসী হয়েছে। এখন ষাইটগাছা গ্রামের মানুষদের হয়রানি করে যাচ্ছে। রিপন অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেল/হাজরত ও খেটেছে।
মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম জানান,রিপন বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমি এবং আমার ভাতিজা সিয়াম কিছু জানিও না কিন্তু আমাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এবং প্রতিনিয়ত প্রান নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আরো জানা যায়, মিথ্যে প্রতিবেদনের জন্য থানায় টাকা দিচ্ছে বলে জানা যায়।
০৯ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ, সন্ধ্যা ১৮:৩০ ঘটিকায় এবং পরবর্তীতে দিবাগত রাত ০৩:০০ ঘটিকায়, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ রাশিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) বেনু, এসআই অসিত কুমার বসাক, এসআই আব্দুল লতিফ ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে ঈশ্বরদী থানাধীন সরাইকান্দি ও পাবনা সদর থানাধীন গোপালপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে একজন অস্ত্রধারী ও মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি:
নাম: মোঃ আবু বক্কার (৫৪)
পিতা: মোঃ আয়েজ উদ্দিন প্রাং
সাং: গোপালপুর
ইউপি: মালিগাছা
থানা: পাবনা সদর
জেলা: পাবনা
তার হেফাজত থেকে জব্দকৃত আলামতসমূহঃ
১। একটি নীল রঙের পলিব্যাগে থাকা ০৫টি ছোট কাগজের বক্স, প্রতিটিতে ১০টি করে ১২-বোর তাজা কার্তুজ, মোট ৫০টি।
প্রতিটি কার্তুজের গায়ে FIOCCHI, JK6 38 feltro, 70mm লেখা রয়েছে।
পারকিউশন ক্যাপে লেখা: 12 FIOCCHI 12 ITALY
একটি Samsung Galaxy A15 5G মোবাইল ফোন (IMEI: 351766310280905/357475530280901), সংযুক্ত সিম নম্বর: 01792183121
২। একটি টিস্যু কাপড়ের ব্যাগে রাখা আরও ০৬টি ১২-বোর কার্তুজ, যার মধ্যে:
০৩টি টিয়া রঙের,
০২টি খয়েরী রঙের,
০১টি সাদা রঙের প্লাস্টিক বডি বিশিষ্ট কার্তুজ
প্রতিটির পারকিউশন ক্যাপে ফায়ারিং পিনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে
একটি লোহার তৈরি সচল ওয়ান-শুটার গান, যার ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ৮.৭ ইঞ্চি এবং বাটসহ মোট দৈর্ঘ্য ১৩ ইঞ্চি। এতে ফায়ারিং পিন ও ট্রিগার সংযুক্ত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।