
পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, সার্চ করার নামে হয়রানি ,পরিক্ষার হলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপরে মানসিকভাবে নিপীড়ন চালানো সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পাবনা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবা খাতুনের বিরুদ্ধে।
এসব অনিয়মের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে পাবনা নার্সিং কলেজের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সরকারি নার্সিং কলেজে যারা পড়াশোনা করেন তাদেরকে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছেন কলেজটির অধ্যক্ষ মাহবুবা খাতুন৷ এসব বিষয় নিয়ে বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছু বললে তাদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ৷ এতে পরিক্ষার সময় বেসরকারি নার্সিং কলেজে পড়া শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের অত্যাচার করে আসছেন৷ পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, সার্চ করার নামে হয়রানি ,পরিক্ষার হলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপরে মানসিকভাবে নিপীড়ন চালানো সহ নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিলেন অধ্যক্ষ।
জানা গেছে, এ সকল বিষয় নিয়ে পাবনার সকল বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর একটি দরখাস্ত দেয়। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। বরং সরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে কলেজ গেটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা গেটের বাইরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে।
পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি কিছুটা অস্বাভাবিক হতে লাগলে সেখানে উপস্থিত হয় এক দল সেনাবাহিনী। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কলেজটির অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পাবনা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে ইতিপূর্বে যা হয়েছে সেগুলা ভুলে গিয়ে আগামীতে সে শিক্ষার্থীদের সার্বিকভাবে সকল সহযোগিতা করা হবে।