
স্টাফ রিপোর্টার।। ইউনিভার্সাল গ্রুপ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে দীর্ঘ চার বছর পর মুখ খুললেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সোহানী হোসেন। সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন ইউভার্সাল গ্রুপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার নেপথ্য কাহিনী। ইউনিভার্সাল গ্রুপের উদ্যোগে ২৪ আগস্ট বেলা ১২ টায় রোটারি ক্লাব অব রূপকথা পাবনার কনফারেন্স রূমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সোহানী হোসেন বলেন, ইউনিভার্সাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোবারক হোসেন রত্ন ২০০৭ সালে আমাদের ছেড়ে দুনিয়া থেকে চলে যান। রেখে যান পাঁচ কন্যা এবং হাজার হাজার ইউনিভার্সাল কর্মী। সবার পরিশ্রমের ফলস্বরুপ সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যায় ইউনিভার্সাল গ্রুপ। বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় ইউনিভার্সাল টেষ্টি স্যালাইন। ব্যাবসার পাশাপাশি শিল্প ও সংস্কৃতি, সাহিত্য, চলচিত্রে আমি বারবার দেশ এবং এই জনপদকে সম্মানী বয়ে এনে দিয়েছি। রাষ্ট্রের একজন দুর্নীতিবাজ কর্মচারী তৎকালীন পাবনা জেলার ভ্যাটের কমিশনার জাহিদুল ইসলাম এর কারণে এতবড় একটি প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে রাজশাহী বিভাগের জেলা পর্যায়ে “ব্যবসায়” খাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারী হিসাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিলো, সেই প্রতিষ্ঠান হুমকির মূখে ফেলে দেয় কমিশনার জাহিদুল। কমিশনার জাহিদুল এর দুই কোটি টাকার ঘুষের দাবী পূরণ করতে অপরাগতা প্রকাশ করি বলে, আমার কোম্মানীতে অভিযান চালিয়ে আমাদের বিপর্যস্ত, আতংকিত এবং মার মুখি আচরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কম্পিউটার নিয়ে যায় জাহিদুল ও তার দলবল। ঠুকে দেয় ২৭০ কোটি টাকার মামলা। আমি সেই সময়ে রাষ্টীয় বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সাথে দেখা করেছি। দেখা করেছি তৎকালীন এন.বি.আর এর চেয়্যারম্যান আবু হেনা মোহাম্মাদ রহমাতুন মুনিম এর সাথেও, জানিয়েছি শহিদ এর রক্ত আর বীরাঙ্গনার সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশটির সমৃদ্ধিতে নিজ অবস্থান থেকে আমার এবং ইউনিভার্সাল গ্রুপের ভূমিকা ও সুযোগ রাখার কথা। কিন্তু আমি কোন সহযোগিতা পাইনি কারো কাছে। পঁচনধরা সেই সময়ে আমি চারপাশে দূর্নীতিবাজদের সদর্প দাপট দেখে নিজেকে গুটিয়ে নিতে ব্যাধ্য হই। দীর্ঘ চাঁর বছর বন্ধ রয়েছে আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় ইউনিভার্সাল গ্রুপ। আজ যখন কথাবলার স্বাধীনতা এসেছে তখন আমরা ইউনিভার্সাল গ্রুপই যেন ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশেরই প্রতিরূপ। আর কোন অন্যায় অনায্য কাজ যেন কারো সাথে না হয় তাই এই কথা গুলো তুলে ধরলাম। এখন সময় অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের, দেশকে নতুন করে গড়ার।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, পাবানা জেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক খবর বাংলার সম্পাদক আলহাজ্জ্ব ডা: আব্দুস সালাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশন প্রতিনিধি আখিনুর ইসলাম রেমন, পাবনা সংবাদপত্র মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক বিপ্লবী সময় সম্পাদক সোহেল রানা বিপ্লব, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ জেলা প্রতিনিধি মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, দৈনিক মানব জমিন ও একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি রাজিউর রহমান রুমী, ডেইলি নিউনেশন ও বাসস প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বাধন, এটিএন নিউজ জেলা প্রতিনিধি রিজভী জয়, এটিএন বাংলা জেলা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাস, এস এ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, মাইটিভি’র জেলা প্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম, এশিয়ান টিভি’র জেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি হুজ্জাতুল্লাহ হীরা, আনন্দ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি সেলিম মোর্শেদ রানা, একাত্তর টিভি’র জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, আর টিভি’র জেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, গাজী টিভি ও দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি বাপ্পি, দৈনিক দেশের পত্র জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক মাসুদ রানা, রিপন হোসেন, দৈনিক খবর বাংলার স্টাফ রিপোর্টার মিকাইল হোসেন, দৈনিক পাবনার আলো প্রতিনিধি সায়েম উদ্দিন, নাহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স, নিউজ পোর্টাল মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।