মোঃ সিয়াম
পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ একাধীন নেতাকর্মী অস্ত্র হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি চালায়।প্রথমে গুলি বর্ষণ করে আবু সাঈদ খাঁন এতে নিহত হয় দুই শিক্ষার্থী।আজ শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময়ে কোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের কথা শুনে সকাল আটটায় সকল শিক্ষার্থী হাজিরহাট এলাকায় একতাবদ্ধ হয়।সময় পার হলে শিক্ষার্থীদের জড় হওয়া বৃদ্ধি হতে থাকে।পুলিশের আসার সময় পার হলে সকল শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে দিতে হাজিরহাট এলাকা থেকে সদর থানায় অবস্থান করে।সদর থানা এলাকা থেকে জেলা প্রশাসন ও

জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে অবস্থান করে।এতে সহকারী পুলিশ সুপার(অর্থ প্রশাসন) মাসুদ আলম জানান,আমরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করছি।কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত রিপোর্ট কোর্টে দেওয়ার সময় সকল কিছু তথ্যপ্রমানাদী প্রয়োজন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিচারিক স্বার্থে এই রিপোর্ট করতে হবে।এই জন্য আমরা কবর থেকে তুলতে চেয়েছি।এতে শিক্ষার্থীদের স্লোগানে স্লোগানে বলেন,আমরা শহীদের লাশ তুলতে দিবো না।আরো বলেন শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করেছিলো সে তো রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান দেওয়া হয়েছে কিন্তু তার হত্যাকারীদের বিচার করা হলো কখনো লাশ তুলা হলো না,এতে শিক্ষার্থী ক্ষোভ ঝেরে এমন মন্তব্য করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার(অর্থ প্রশাসন)মাসুদ আলম আরো বলেন,শিক্ষার্থীসহ নিহতের পরিবার যদি ময়নাতদন্ত না করতে দেয় তাহলে আমরা আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে এবং ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সাথে বসে জানাবো।

এ সময়ে কিছু আশার বানী পাইলেও শিক্ষার্থীরা আবারো স্লোগান নিয়ে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে অবস্থান করে এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে কথা বলে স্লোগান শেষ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী কিছুটা শান্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে চোখ ভরা পানি নিয়ে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান,আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি।আদালতের নির্দেশনায় আমরা লাশ উত্তোলন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য আজকে বাতিল করেছি।যদি আবার কখনো আদালত এমন কোন সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে তখন শিক্ষার্থীদের সাথে এবং নিহতের পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।তখন নিহতের পরিবারও বুঝবে আবার শিক্ষার্থীরাও বুঝবে বিষয়টি।
শিক্ষার্থী বিপ্লব বলেন,এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা যে শহীদের লাশ তুলে তদন্ত করতে চায় এটা আমরা আপনারা কখনোই শুনি নাই।এটি একটি গনহত্যা বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনি।এই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে শারমিন সুলতানা রেখাসহ সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।লাশ উত্তোলন বন্ধ করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন,মইনুল হোসেন সৌরভ,নিরব খান,শাওন,মনজুরুল বিপ্লব,মনিরা ও সাধারণ জনগনের পক্ষের প্রতিনিধি শারমিন সুলতানা রেখাসহ সকল শিক্ষার্থী জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় ত্যাগ করেন