স্টাফ রিপোর্টার:
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাবনা শহরতলীর টেবুনিয়া এলাকায়
অবস্থিাত সামছূল হুদা ডিগ্রী (অনার্স) কলেজের আয়োজনে পালিত
হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
এ উপলক্ষ্যে বেলা ১২ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকা
উত্তোলন করেন পাবনার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কলেজ ম্যানেজিং কমিটির
সভাপতি এ্যাড. তোসলিম হাসান সুমন। প্রধান অতিথি কলেজের
শিক্ষকবৃন্দ ও অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর
প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে কলেজ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা
সভা অনুষ্ঠিত হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহিদুল হক রুমির সভাপতিত্বে
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. তোসলিম হাসান
সুমন প্রথমে শিক্ষকদের নৈতিকতাসম্পন্ন হতে হবে বলে দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত
করেন। এরপরে ছাত্র/ছাত্রীদেরকেও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে,
শিক্ষার্থীরা যাতে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যত কর্মজীবনের
সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত থেকে সমাজ তথা দেশের কাজ করতে পারে। তিনি
বলেন, দেশের অধিকাংশ অফিস-আদালত আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে
পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি ভূমি অফিসের কথা উল্লেখ করে বলেন,
কৃষক তথা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সেবার নামে তারা অবাধে
ঘুষ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘুষ না দিলে সেবাপ্রার্থীর
নিজ জমিকেও খাস সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করে দেন তারা। আমাদের দেশে
ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হলে আমাদের এদেশ প্রকৃতই বঙ্গবন্ধুর সোনার
বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন পাবনার বিশিষ্ট
সাংবাদিক-কলামিস্ট আব্দুল হামিদ খান, কলেজ গভর্নিং বোর্ডের
সদস্য মো. শুকুর আলী ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো. দুলাল হোসেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সামছুল হুদা ডিগ্রী (অনার্স) কলেজের
সহকারি অধ্যাপক ও ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো.
মোকছেদ আলী, সহকারি অধ্যাপক রকিবুল আলম পান্না ও প্রভাষক
পাপিয়া শবনম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান বলেন, বাঙালি
জাতির শৌর্যবীর্যময়, অবিস্মরণীয় একটি দিন হলো মহান স্বাধীনতা
দিবস। আর আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধুই এদেশের বঞ্চিত,
নির্যাতিত, নিপীড়ত, বৈষম্যপীড়িত বাঙালি জাতিকে উদ্বেলিত করে
স্বাধীনতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং দীর্ঘ আন্দোলন,
লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা পেয়েছে
বাঙালি জাতি। তিনি বলেন, শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়, মানুষ দেখানোর
জন্য নয়, কোন কৃত্রিমতা নয় প্রকৃত অর্থেই মন-প্রাণ দিয়ে
আমাদেরকে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে এবং এ দিবসের তাৎপর্য
বুকে ধারণ করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব সম্পর্কে
জানানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আলোচনা সভাটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন সহকারি অধ্যাপক
আইয়ুব হোসেন।
আব্দুল হামিদ খান
পাবনা।
তারিখ : ২৭/০৩/২০২৪
সেল : ০১৭১১-৮০৪৬৪৭