
পাবনা জেলা সংবাদদাতা:
মাদক ব্যবসায়ে বাধা দেওয়ায় পর্যায়ক্রমে গ্রামের ৮-১০ জন কে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী কুরমান গংদের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদক ব্যবসায়ী কুরমানের বাড়ি (মাদকের আস্তানা) অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন জাতসাখিনী ইউনিয়নের অন্তর্গত টাংবাড়ি (মাষ্টিয়া রেল লাইন সংলগ্ন) গ্রামে।
আমিনপুর থানায় বিদ্যমান মাদক মামলা (আমিনপুর থানার এফআইআর নং-০৭ তারিখ -০৫ জুলাই ২০১৮ ও আমিনপুর থানার এফআইআর নম্বর -০৪ তারিখ ৪ঠা নভেম্বর ২০২৪) থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় কুরমান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়া ঐ এলাকায় চালানো অনুসন্ধানে জানা যায়, টাংবাড়ী গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে কুরমান (৩২) দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের (গাঁজা ও ইয়াবা) রমরমা ব্যবসা করে আসছিল।
এলাকাবাসী জানায়,মাদক ব্যবসায়ে বাধা দেওয়ায় কুরমান ও তার পরিবারের সদস্য গণ মাষ্টিয়া গ্রামের মৃত গফুরের ছেলে নুরুল (৪৫) মারধর করে। এরপর চলতি মাসের ৪ তারিখ মাষ্টিয়া গ্রামের মৃত যদুর ছেলে শাহীন (৪৫),০৬ তারিখে একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন শেখের ছেলে সালাম (৪০), ০৭ তারিখে মৃত আলাউদ্দিন শেখের ছেলে আলীম (৩৫) কে মারধর করে।
এরপর ঘটনার দিন ০৯ মার্চ দিবাগত রাত ১১ টার দিকে বহিরাগত ১০-১৫ সহ এলাকার মধ্যে ঢুকে এলাকাবাসীর উপর আক্রমণ চালায় কুরমান গং। এ ঘটনায় মাষ্টিয়া গ্রামের রহিম ফকিরের ছেলে জিন্দার (৪৫) ও আমজাদ (৩৬) গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও মরিচপুরান গ্রামের আজমত শেখের ছেলে সাব্বির (১৮),কবির ফকিরের ছেলে তারেক (২৬) ও লোকমান মোল্লার ছেলে নজরুল (৪৫) আহত হয়। গ্রামের মধ্যে বহিরাগত নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এসময় তারা মাদক ব্যবসায়ী কুরমানের বাড়িতে হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে বাড়ির ০৪টি ঘর সম্পূর্ণ রুপে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আমিনপুর থানায় কুরমানের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর রয়েছে আমিনপুর থানা পুলিশ।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আলমগীর বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। তবে বিষয়টা মাদক সংক্রান্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।