ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, ‘আগস্টের ৬-এ পুলিশের অবস্থা এবং অক্টোবরের ৮-এ পুলিশের অবস্থা আপনারাই বিচার করুন। পুলিশের অনেকে আত্মগোপনে আছেন। কেউ গোপন পথে পালিয়ে যেতে পারেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আমরা চাই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আমাদের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করবেনÑ এসব পলাতক ব্যক্তিরা কোথায় আছেন। আমাদেরকে গোয়েন্দা তথ্য আপনারা দেবেন। পুলিশ বাহিনীর ভেতর
অপরাধমূলক কাজে জড়িতদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ঢাকায় শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের জানামতে কোনো থ্রেট (হুমকি) নেই। কোনো ঝুঁকিও দেখছি না।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পূজা উদযাপন চলবে। দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মালম্বীদের হলেও এর আনন্দ বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ উদযাপন করে থাকে। ঢাকা মহানগরীতে এ বছর ২৫৩টি স্থানে ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১টি ও উত্তর সিটিতে ১২২টি স্থানে পূজা উদযাপন হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ও যথাযথভাবে বিজয়া দশমী পর্যন্ত উৎসব উদযাপনে বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি পূজাম-পে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিটি পূজাম-পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, থানা পুলিশের মাধ্যমে নিজস্ব টহল ও চেকপোস্টের ব্যবস্থাসহ সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, মেটাল ডিভাইসের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা থাকবে ও পূজা কমিটির মাধ্যমে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক এবং আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরাও নিরাপত্তা দেবেন।
মাইনুল হাসান বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের জন্য ঢাকায় ১৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিসর্জনের জন্য পূজা কমিটি ও ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।