গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে নিখোঁজ হয় ফাতেমা খাতুন শায়লা (২৩) নামের এক গৃহবধূ। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যাহার নম্বর ৩৭৯ জিডি করার তিন দিন পর কালীগঞ্জ থানার নাগরী ইউনিয়নের মিরেরটেক এলাকার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতনামা এক নারীর গলিত মরদেহ (কঙ্কাল)। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ওড়না ও জুতা দেখে পরিবারের লোক সনাক্ত করেন এটা নিখোঁজ সেই গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন শায়লা।এরপর চাঞ্চল্যকর অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে কালীগঞ্জ থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই মোঃ আনোয়ার হোসেন। অবশেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মো: আব্দুল মজিদ মিয়াকে (৪২) গ্রেফতার করা হয় এবং আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধিতে আসামি মজিদ জানায়, শায়লাকে চাকরির প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির ভয়ে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা শেষে মরদেহ গুম করে।এরপর সে আত্মগোপনে চলে যায়। গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে আসামি আব্দুল মজিদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামি আব্দুল মজিদ গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দেয়।গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুল মজিদ মিয়া পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিন শেখের ছেলে। সে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা সফিপুর বোর্ডমিল এলাকায় থাকতো। মজিদ নিহত শায়লার আপন খালু শ্বশুর ছিল। নিহত শায়লা ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের এবাদত আলীর মেয়ে প্রায় ১১ মাস পূর্বে একই উপজেলায় পুঙ্গলী ইউনিয়নের আগপুঙ্গলী গ্রামের ফজলুল হক খন্দকারের পুত্র রুবেলের সাথে বিবাহ হয়