পিপ ॥ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) অপহরণের তিন দিন পরও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। এতে পরিবারের লোকজনের মধ্যে চরম হতাশা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (৮জুন) রাতে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও শরৎনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত একই গ্রামের বখাটে আসিফ হোসেন (২৮)। এরপর মেয়েটির পিতা-মাতা জানতে পেরে আসিফকে সাবধান করে। এতে আসিফ ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাবে বলে পরিবারকে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে অপহরণের সুযোগ খুজতে থাকে আসিফ। গত মঙ্গলবার (৭জুন) সকাল সাড়ে আটটার দিকে মেয়েটি বাড়ি থেকে আটো ভ্যান যোগে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয়। সাড়ে নয়টার দিকে মাদ্রাসার সামনে পৌঁছলে দ্রুত তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায় আসিফ। মাদ্রাসা ছুটির পর মেয়েটি বাড়িতে না যাওয়ায় তার স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে স্বজনেরা মেয়ের অপহরণের বিষয়টি জানতে পারেন। বুধবার রাতে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে খুবই ছোট। মাত্র অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত এলাকার বখাটে আসিফ। বিষয়টি জানার পর তাকে সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু গত মঙ্গলবার সকালে আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায় আসিফ। মেয়েটা এখন কী অবস্থায় আছে জানি না। মেয়েকে ফিরে পেতে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনো আমার মেয়েটাকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমি আমার মেয়েটাকে চাই। এ বিষয়ে জানতে আসিফের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পাওয়া তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহারণকারীকে গ্রেপ্তারের পুলিশ জোর তৎতপরতা চালাচ্ছে।