ডেস্ক নিউজ ॥ চলতি জুন মাসে ভারি বর্ষণের প্রভাবে স্বল্প মেয়াদী বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জুন মাসের প্রথম দশ দিনে সারাদেশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা বিস্তার ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। )গত বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; এর মধ্যে একটি মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ভারি বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে এ মাসে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী দুই সপ্তাহে গঙ্গা-পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা নেই। তবে মেঘনার কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। দক্ষিণ পূর্ব পার্বত্য অববাহিকায় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টির ফলে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা দেখা দিতে পারে।
চলতি বছর এপ্রিলের শেষ ভাগে এক দফা এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় দফায় আকস্মিক বন্যার মুখে পড়ে হাওর ও সীমান্তবর্তী উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
হঠাৎ আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৩টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের সড়ক ও সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কয়েক জায়গায়।
মে মাসের বন্যায় সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পর এবার বিয়ানীবাজার এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এবং সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
এসব এলাকায় সপ্তাহ খানেকের বেশি সময় ধরে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বসতভিটা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পানি ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এতে কৃষি ও যোগাযোগ খাতে প্রায় শত কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার কথা সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সুত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।