• Thu. Nov 21st, 2024

দৈনিক পাবনার আলো, মাহফুজ আলী কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত

#pabnaralo#, pabna# pabnanews# পাবনারআলো# পাবনার_আলো#পাবনারখবর#পাবনারবার্তা

অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারপিট।

শামীম আহমেদ সাঁথিয়া পাবনা প্রতিনিধিঃ-

বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনকে সভাপতির সামনেই মারপিট করার প্রতিবাদে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা  গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়ার সামনেই ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রাশেদ প্রধান শিক্ষককে চোখে ঘুষি মেরে সঙ্গাহীন করে। এ সময় চোখে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করার উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে সভাপতি আব্দুল বাতেন ও কতিপয় সদস্যদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে জোর করে ছুটি দিয়ে দেয়। 

প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন জানান, কাশিনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব পদে লোক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষককের অফিস কক্ষে আলোচনায় বসেন সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যগণ।

এ সময় সদস্য রাশেদ তার নিজের লোককে অর্থের বিনিময়ে  নিয়োগের জন্য পাবনা ডিজির প্রতিনিধির নিকট যেতে বলে প্রধান শিক্ষককে। এতে প্রধান শিক্ষক বলেন, সভাপতি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে বৃহস্পতিবারে যাব। যেহেতু রেজুলেশন লেখা হয় নাই। ওইটা লিখে রেডি করে তারপর যাবো। 

এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার চোখে প্রচন্ড জোরে ঘুষি মারে। এতে আমি সজ্ঞাহীন অবস্থায় চেয়ারের উপর পড়ে যাই। পরে সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

প্রধান শিক্ষক অভিযোগে আরও বলেন,  এর আগে নিয়োগের বিষয় নিয়ে আমাকে একটি অনৈতিক প্রস্তাব দেয় সদস্য রাশেদ। তারা প্রার্থীর নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থের লেনদেন করেন যা আমাকেও ভাগ নিতে বলে। এতে আমি অস্বীকার করলে পরে একজনের মাধ্যম দিয়ে আমাকে ম্যানেজ করার চেস্টা করে।এতেও আমি অস্বীকার জানালে সে সভাপতির সামনেই আমাকে অশ্রীল ভাষায় গালাগাল করেন। ্আমি এর প্রতিবাদ করে সভাপতির নিকট উপস্থাপন করতেই আমার চোখের উপর ঘুষি মেরে বসে। শালাকে পিটিয়ে শেষ করে দেব বলে ঘালাগাল করেন।   তিনি বলেন, আমি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সাঁথিয়া থানায় এসে অভিযোগ দিলে ওসি বলেন, আমি দেখতেছি আপনি যান। তিনি বলেন, আমি এর বিচার চাই। প্রয়োজনে আমি আগামীকাল আদালতের শরনাপন্ন হব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে  অভিযুক্ত সদস্য রাশেদ  মারধোরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,  বিদ্যালয়ের জায়গা ট্রাস্টের নামে থেকে বিদ্যালয়ের নামে করার জন্য একটা প্রতিবেদন চান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাউকে না জানিয়ে একতরফাভাবে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন এ জন্য একটু কথাকাটাটি হয়েছে মাত্র। 

বিষয়টি জানতে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরিকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *