র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও ধর্ষণ, প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, পাবনা জেলার ফরিদপুর থানা এলাকায় কতিপয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ডাকাত শামীম এর নেতৃত্বে হাতবোমা এবং দেশীয় অস্ত্র সহ ডাকাতির পরিকল্পনা করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিপিসি-২, পাবনার একটি চৌকষ আভিযানিক দল কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান এর নেতৃত্বে অদ্য ২০ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ ভোর ০৪.৪০ ঘটিকার সময়া পাবনা জেলার ফরিদপুর থানাধীন মঙ্গলগ্রাম সাকিনস্থ জনৈক রবিউল ইসলাম (৩৫), পিতা-হাজী মোঃ শহর আলী এর আবাদী জমির পূর্ব পাশে অভিযান পরিচালনা করে ০১। মোঃ শামীম হোসেন(২৫), ০২। মোঃ শাকিল হোসেন(২০), উভয় পিতা-মোঃ আবু বক্কর প্রামানিক, ০৩। মোঃ সাদেক প্রামানিক (৪০), পিতা-আব্দুল হামিদ প্রামানিক সর্ব সাং-মঙ্গলগ্রাম, থানা-ফরিদপুর, জেলা-পাবনাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শামীম হোসেন এর নিকট থেকে ০৩ টি হাত বোমা এবং মোঃ শাকিল হোসেন এর নিকট থেকে ০১টি ধারালো দেশী হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ০৩ জন আসামীই ২০২১ সালে পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার চাঞ্চল্যকর আলমাস হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় প্রধান আসামী। আলমাস হত্যাকান্ডের পর হতেই উক্ত ০৩ জন আসামীই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত শামীম হোসেন আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। আলমাস হত্যা মামলা ছাড়াও তার নামে ২০১৮ সালে নাটোর জেলার নাটোর সদর থানার ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা, ২০২১ সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানায় চুরির মামলা, ২০১৮ সালে পাবনা জেলার আতাইকুলা থানায় একটি বিস্ফোরক মামলা, ২০১৮ সালে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা, ২০২০ সালে পাবনা জেলার চাটমোহর থানায় সংঘবদ্ধ চুরির মামলা এবং ২০২৩ সালে ফরিদপুর থানায় যৌতুক নিরোধ আইনে আরো একটি মামলা রয়েছে।
উক্ত ডাকাত দলের হেফাজত হইতে উদ্ধারকৃত ০৩টি উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা র্যাবের নিজস্ব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অংশগ্রহণে নিস্ত্রিয় করা হয়।
৪। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করলে একই তারিখ ১৬.৪০ ঘটিকায় পুনরায় কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান এর নেতৃত্বে অভিযানে নামে সিপিসি-২, পাবনা এর ০১টি চৌকষ আভিযানিক দল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্য এবং দেখানো মতে পাবনা জেলার ফরিদপুর থানাধীন মঙ্গলগ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাবনা জেলার ফরিদপুর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।