গাজীপুরে বেশির ভাগ তৈরি পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। আজ রোববার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকেরা। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া পুরো জেলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহলও আছে। তবে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, জেলার ৮টি কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ রয়েছে।
শিল্প মালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গাজীপুরে শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। নানা দাবিদাওয়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই চলে বিক্ষোভ। সর্বশেষ গতকাল শনিবার গাজীপুরের জিরানী এলাকায় আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ হয়। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় চন্দ্রা–নবীনগর সড়কে যানবাহন চলাচল। পরে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সহায়তায় দুপুরের পর সমস্যার সমাধান হয়। গতকাল বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অশান্ত হয়ে পড়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। ছুটি ঘোষণা করা হয় ১৯টি কারখানায়। তবে আজ সকাল থেকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে বেশির ভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকসহ অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কারখানার নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আজ সকাল থেকেই গাজীপুরে বেশির ভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। এখনো কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। কারখানার নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও মহানগর পুলিশ কাজ করছে। বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে জেলার ৮টি কারখানা আজ বন্ধ আছে।