নিজস্ব প্রতিনিধি :
পাবনা সদরের সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোলে মাসুদ মোল্লা (৪২) নামে জামায়াত ইসলামীর এক কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের শ্রীকোল মাঠে কাজে গেলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে।
মাসুদ রানা শ্রীকোল চরপাড়া গ্রামের মৃত: জহির উদ্দিনের ছেলে ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট সেক্রেটারি।
অভিযুক্তরা হলো: শ্রীকোল চরপাড়া গ্রামের মৃত: আনসার শেখের ছেলে মোঃ আলিম শেখ(৩৫), মোঃ ইকবাল শেখ (৩৮), মোঃ ইউনুস শেখ (৪৩), মোঃ আফসার শেখ (৫০), মৃত ফকির শেখের ছেলে মোঃ হান্নান শেখ (৪৮), হারেজ মল্লিকের ছেলে মোঃ কুতুব মল্লিক (৫২), সামাদ মন্ডলের ছেলে মহির মন্ডল (৩৫), হাচেন মন্ডলের ছেলে খোকন মন্ডল (৩২), বারেক বিশ্বাসের ছেলে গোকুল বিশ্বাস (২২), শুকুর প্রামাণিকের ছেলে মোঃ রুহুল আমিন (২৮), মৃত: সুবহান শেখের ছেলে কোরবান শেখ (৪৫), লতিফ মোল্লার ছেলে রইচ উদ্দিন প্রমুখ। অভিযুক্ত সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে মহির মন্ডল পাবনা শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুইজন শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামী পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সাঈদ খানের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন আগে ভুক্তভোগী মাসুদ মোল্লার আবাদী ফসলি জমিতে অভিযুক্ত আওয়ামী সন্ত্রাসী আলিম শেখের গরু ফসল খেয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। মাঠে গিয়ে মাসুদ মোল্লা গরুকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে গরু ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার দুপুর ১ টার দিকে মাসুদ মোল্লা ফসলের মাঠে কাজে গেলে পুর্ব পরিকল্পনামতো লোহার রড, হাতুড়ি, এবং চাপাতি দিয়ে এলোপাথারিভাবে আঘাত করে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন, আমার জমির ফসল গরু খাওয়ায় বিষয়টি নিষেধ করলে এরই জের ধরে আমাকে হাতুড়ি পিটিয়েছে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে। এর আগেও তারা হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। সবাই এলাকার চিন্হিত আওয়ামী সন্ত্রাসী। এরা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী মাসুদ মোল্লার বড় ভাই আব্দুল মালেক বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ছোটভাইকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে এটা কোন মানুষ করতে পারেনা। এসব দুষ্কৃতকারীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি। এসব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
অভিযুক্তদের প্রধান আব্দুল আলিম শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।