মোঃ রমজান আলী (১৩) উদ্ধার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, ধর্ষক, প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সকাল বেলা পাবনা জেলার চাটমোহর থানাধীন চড়াইকোল দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রমজান আলী (১৩) আটঘরিয়া থানাধীন তার নানা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। ঐদিন সন্ধ্যায় ভিকটিমের পরিবার জানতে পারে রমজান আলী তার নানা বাড়ি যায়নি। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ৭ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের মাকে জানায় নিখোঁজ রমজান আলী তাদের কাছে আছে এবং তাকে ফিরে পেতে হলে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তার সন্তানকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা মোছাঃ ময়না খাতুন বাদী হয়ে পরের দিন, অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ চাটমোহর থানায় অজ্ঞানামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১৬, তারিখঃ ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৭/৮/৩০। অপহৃত শিশু রমজান আলীকে উদ্ধার ও অপহরনকারীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে সিপিসি-২ পাবনা, র্যাব-১২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় সিপিসি-২ পাবনা ও সিপিএসসি বগুড়ার একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানাধীন বড়াল ব্রিজ এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিম মোঃ রমজান আলী, পিতাঃ মোঃ আকমল হোসেন, সাং-চড়াইকোল, উপজেলাঃ চাটমোহর, জেলাঃ পাবনাকে সম্পূর্ন সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরনকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক অপহরনকারীদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।