রেল কর্মকর্তার নিষেধ উপেক্ষা করে আবারো পাবনার ভাঙ্গুড়া বড়াল ব্রিজের পশ্চিম পার ভাঙ্গুড়া নতুন থানা ভবনের দক্ষিণ পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ১২০০০ বর্গফুট সম্পত্তি দখল করে বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলহাজ মোঃ সেলিম হোসেন ডলার এর বিরুদ্ধে। এই নেতা বিত্তশালী ও ক্ষমতাধর হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও রেল কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে আবারো মার্কেট নির্মাণের কাজ নিয়মিত চলছে বলে এলাকাবাসি জানান। পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী ভূ-সম্পত্তি বিভাগ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পৌর সদরে বড়াল ব্রিজের পাশে মেন্দ্রা মৌজায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম হোসেন ডলারের বাবা দুই দশক পূর্বে এই সম্পতি থেকে প্রায় ৩ একর কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নেন। চুক্তি অনুযায়ী, ইজারা নেওয়া সম্পত্তি তাঁর কৃষিকাজ করার কথা।
কিন্তু গত ২০১৮ সালে সেলিম হোসেন ডলার এই সম্পত্তির উপর আর সি সি করে বহুতল ভবনের ভীত স্থাপন করার সময় রেল কতৃপক্ষ কাজ বন্ধ করেদেন। কিন্তু ডলার বিত্তশালী হওয়ায় ২ বছর পর বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে পুনরায় কাজ শুরু করেন। পরে সেখানে প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ একটি মার্কেট নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকা জামানত নিয়ে মার্কেটের দোকান ঘর ভারা দিয়েছেন।
এখানেই খ্যান্ত নয় এই বিত্তশালী আওয়ামীলীগ নেতা আবারও এই মার্কেটের পাশে আরো ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ বহুতল ভবনের ভিত দিয়ে মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত ১৩ মে দৈনিক মানবকন্ঠ ও স্থানিয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রেল কতৃপক্ষ কাজ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম হোসেন ডলার কিছুদিন কাজ বন্ধ রেখে। গত ২৭ মে থেকে আবারো মাকেট নির্মাণের কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তির উপর পৌর সভার মেন রাস্তা বরাবর একটি স্থায়ী পাকা মার্কেট স্থাপন হয়েছে। এর দক্ষিণ পাশে আবারও সেই আওয়ামীলীগ নেতা ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ মার্কেট নির্মাণ কাজ রেল কর্মকর্তা নির্দেশে বন্ধ থাকা মার্কেট নির্মাণ কাজ চলছে সেখানে ৫-৬ জন শ্রমিক ইটের খোয়া ও সিমেন্টের দিয়ে পিলার ঢ়ালাই দিচ্ছে।
নির্মাণাধীন মার্কেটের প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ইট-সিমেন্টের ও রড দিয়ে ৩০ টি পিলার তুলা হয়েছে তার মধ্য ১৫ টির প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বাকি ১৫ টি পিলারে রড দিয়ে নিচের ঢালাই কাজ চলছে।
অবৈধ মার্কেট নির্মানাধীন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন (ডলার) বলেন, আমার বাবা প্রায় ৩ একর সম্পত্তি রেলওয়ের কাছ থেকে কৃষি জমি হিসাবে লিছ নিয়ে ছিলেন। তার মধ্য কিছু জমি বানিজ্যিক হিসেবে খাজনা দেওয়া হয়েছে। কৃষি জমি বানিজ্যিক খাজনা দেওয়ার নিয়ম ও ভবন নির্মাণের অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান খাঁন বলেন, পূর্বে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়ে ছিল পুনরায় কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী কার্যালয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, মার্কেট নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ, কাজ বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে। আবারো কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।