সিরাজুল ইসলাম আপন (ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি) ॥ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের সামনেই পিটিয়ে এক প্রধান শিক্ষকের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে তারেক মাহমুদ মাহিম (২৮) নামে এক বখাটে। মারধোরের শিকার ইউসুফ আলী মাস্টার (৫৫) উপজেলার ভেড়ামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মাহিম একই গ্রাম চক্রপাড়ার আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে। তারা উভয়ই একই গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে মাহিমের মারধোরে লিটন খান নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাহিমের সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছে। দুইদিন আগে মাহিমের শ্বাশুরী মাহিমের বাড়িতে আসলে সে তার স্ত্রী ও শ্বাশুরী উভয় কে মারধোর করে। মাহিমের স্ত্রী ইউসুফ মাস্টারের আত্মীয় হওয়ায় শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক, লিটন খান, মাহিমের স্ত্রীর পরিবারের লোকজনসহ বেশ কয়েকজন গ্রাম প্রধান নিয়ে মাহিমের বাড়িতে যায় স্ত্রী ও শ্বাশুরীকে মারধোরের বিষয়ে শুনতে। এসময় মাহিমের স্ত্রী তার সাথে সংসার করবে না বলে জানায়। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে মাহিমের পরিবারও তাকে রাখবে না বলে জানায়। ফলে চেয়ারম্যান মাহিমের স্ত্রীকে কিছুদিন বাবার বাড়িতে রাখার কথা বললে মাহিমের স্ত্রী রাজি হয়। এর পর মাহিমের স্ত্রী তার নেশার কথা সবাইকে বলে দেয় এতে মাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে ইউসুফ আলীকে মারধোর করে হাত ভেঙ্গে দেয়। এসময় তাকে থামাতে গিয়ে মারধোরের শিকার হন লিটন খান। পরে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে মাহিম থামে ও পালিয়ে যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দেয়। পরে ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মাহিমের পিতা আব্দুল মজিদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী সহ কয়েকজন বসে বিষয়টি মীমাংসা করছিল। কিন্তু ইউসুফ আলীর বাড়াবাড়িতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলে আঘাত করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হেদায়েতুল হক বলেন, এমন ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত। ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ভাঙ্গুড়াা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।