নিজস্ব প্রতিনিধি:
৩০ দিনে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও দুই বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে মাত্র দুই সদস্যের পাবনা জেলা যুবদলের কমিটিই পার করলো ২ বছর। এতে হতাশ ও ক্ষুব্দ হচ্ছেন যুবদলের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। তারা দ্রুত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুই সদস্যের বর্তমান আহবায়ক কমিটি দুই বছর অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানাকে আহবায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির আহমেদকে সদস্য সচিব করে ২ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তৎকালীন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি ঘোষণা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরেও তা বাস্তবায়ন করা হয়। এতে হতাশ হয়ে পড়েন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন কমিটি না থাকায় গত আন্দোলন-সংগ্রাম যুবদল কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। দ্রুত কমিটি গঠন করা না হলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাপ্পী সরদার, জেলা যুবদলের সাবেক দফতর সম্পাদক আবু রায়হান নয়ন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহবুব সুজনসহ একাধিক পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
তারা বলেন, আমরা গত আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে। জীবন বাজী রেখে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গেছি, সেখানে যদি মারা যেতে তাহলে আমাদের পরিচয়ই থাকতো না। আজ পর্যন্ত তারা একটা পুর্ণাঙ্গ কমিটিই করতে পারেনি, একটি কর্মীও সম্মেলনও করতে পারেনি। দুই সদস্যের কমিটি দুই বছর পর করেছে কিন্তু তারা কোনো আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে পারেনি, তারা যেহেত ব্যর্থ তাই এই কমিটি ভেঙে দিয়ে আমরা পুর্নাঙ্গ কমিটি চাই।
এবিষয়ে পাবনা জেলা যুবদলের আহবায়ক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা বলেন, খুব শিগগিরই কমিটি পুর্ণাঙ্গ হয়ে যাবে। অনেক আগেই একটি কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া আছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলনের সময় কেউ গ্রেফতার, কেউ আত্মগোপনে ছিলেন, ফলে কমিটি আর পুর্ণাঙ্গ হয়নি। এখন পরিস্থিতি অনুকুলে থাকায় আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই কমিটি হয়ে যাবে। সারা দেশের অনেক জেলাতেই এরকম কমিটি হয় না, কিন্তু এখন আবার পুন:গঠন শুরু হয়েছে, আশা করি আমাদেরটাও হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।