বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা দুর্নীতির দু’চি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন।
গণবিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা এবং দেশত্যাগের পরে নাটকীয় পরিবর্তন হল বাংলাদেশের রাজনীতিতে। সোমবার রাতে সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ঘোষণা করলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্থায়ী ভাবে মুক্তি দেওয়া হবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা দুর্নীতির দু’চি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার সরকার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল।
তবে সেই মুক্তির মেয়াদ ছিল ছ’মাস। তার পর থেকে ছ’মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। তা ছাড়া, জেল থেকে মুক্তি পেলেও কার্যত খালেদা তাঁর গুলশনের বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন। স্বাধীন ভাবে তাঁর যাতায়াতের উপর ছিল নানা বিধিনিষেধ। অসুস্থ খালেদাকে গত কয়েক বছরে একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মুক্তি পেলেও তাঁর পক্ষে সক্রিয় ভাবে রানৈতিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই বিএনপির একটি সূত্র জানাচ্ছে।