বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আমিনপুর থানাধীন ঢালার চর ইউনিয়নের গোয়াল নগর ফাঁড়ির ইন-চার্জ মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নূর আলী মন্ডলকে আদালত হতে মামলা উঠিয়ে নেয়ার চাপ প্রয়োগের ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুরবান সর্দারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর কাগজপত্র না দেখেই বিবাদী পক্ষে রায় প্রদান করার অভিযোগেএক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার ৫ মে দুপুর ১ টায় পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগের ভাতিজা হারুন মন্ডল (৩৫)।
জানা যায় ভুক্তভোগী নুর আলী মন্ডল ঢালারচর ইউনিয়নের মিরপুর চরের মৃত আপাই মন্ডলের ছেলে।
নুর আলী তার বক্তব্য বলেন আমার নানা সেলিম সরদার তার ১ম স্ত্রী মারা গেলে ছকিরন নেছা বিবিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাংলা ১৩৫৪ সানের ৩ রা বৈশাখে ছকিরনের দেনমোহর পরিশোধ বাবদ ৩.৩৯ শতাংশ জমি লিখে দেন। এরপর তার ওয়ারিশগন ১ শ বৎসর যাবৎ বাড়ী ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করছে।
এদিকে সেলিম সরদারের ১ম স্ত্রীর ছেলে সরূপ সরদার এবং স্বরূপ সরদারের ছেলে মেছেল সরদার ও
করিম সরদার, করিম সরদারের ছেলে আলিয়ার সরদার ও করিমের ভাগিনা জিলাল মন্ডল এই জমি দাবী করে ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদে বিচার প্রার্থনা করে।
চেয়ারম্যান কুরবান সর্দার আমর কাগজপত্র না দেখেই বিবাদী পক্ষে রায় প্রদান করেন। তখন আমরা ন্যায় বিচারের আশায় পাবনা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তারা জমি দাবী করে সালিশ করলেও আমার বৈধ কাগজ দেখে রায় আমার পক্ষে আসে।
এদিকে গোয়াল নগর ফাঁড়ির ইন-চার্জ মোশারফ হোসেন আমাকে বিভিন্নভাবে ধমক দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে আদালত থেকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার চাপ প্রয়োগ করছেন।
আমরা লেখা পড়া না জানা অসহায় গ্রাম্য মানুষ। আপনাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ আমাদের বিষয়টি আপনাদের প্রত্রিকায় প্রকাশ করে আমাদের ও সত্যের সাথে থাকবেন।
এ সময় তাদের সাথে তাদের উকিল মতিউর রহমান বাহেজও বক্তব্য পেশ করেন।
সেখানে পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।