১১-০৭-২০২৩
ইউ এন এস ঃ কর্তব্যরত চিকিৎসকে অসৌজন্যমূলক আচরণে ভুক্তভোগী রোগী বিচারের আশায় পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন বলে জানা গেছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় পাবনা শহরের সাধুপাড়া মহল্লা ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিন ইবনে রিয়াজ গত ২২ জুলাই সাড়ে ১২ টার সময় পাবনা ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নাক- কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. হারুন আর রশিদের শরণাপন্ন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ট্রাংক ডিপ্রেসার দিয়ে রোগীর গলা পরিক্ষা করে ট্রাংক ডিপ্রেসার যন্ত্রটি রোগীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বেসিন থেকে ধুয়ে আনতে বলে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এহেন আচরণে রোগী মাসুদ বিন ইবনে রিয়াজ হতভম্ব হয়ে যান। রোগী চিকিৎসকের আদেশ পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে চিকিৎসক তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন, চিকিৎসক জানান আমার এখানে কোনো লোক নাই, উচ্চস্বরে বলে আপনাকেই ধুতে হবে। পরে ভুক্তভোগী রোগী চিকিৎসকের সাথে তর্কে না জড়িয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী রোগী বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি পাবনা জেলা শাখার পরিচালক মো. মাসুদ বিন ইবনে রিয়াজ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি পাবনা জেলা শাখার কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তক্রমে ২৫ জুন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডাক্তার মো. ওমর ফারুক মীর বরাবর অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ পেশ করেন। আরো জানা যায় ভুক্তভোগী রোগী একই অভিযোগ পত্র পাবনা সিভিল সার্জন বরাবর পেশ করেছেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডাক্তার মো. ওমর ফারুক মীর প্রবিত্র হজ্জ পালনে সৌদি আরব অবস্থান করায় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার সালেহ মোহাম্মদ অভিযোগ পত্রটি গ্রহন করেন। ডাক্তার সালেহ মোহাম্মদ বার্তাসংস্থা ইউএনএস কে জানান অভিযোগ পত্রটি গ্রহন করেছি, যেহেতু ডাক্তার হারুন অর রশিদ তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজের একজন কর্মকর্তা সেহেতু অভিযোগ পত্রটি পাবনা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর পেশ করা হয়েছে। পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার মো. উবায়দুল্লাহ ইবনে আলী বার্তাসংস্থা ইউএনএস কে জানান অভিযোগ পত্রটি পেয়েছি তিনি আরো জানান অভিযোগকারী রোগী মাসুদ বিন ইবনে রিয়াজের বক্তব্য নেওয়া হয়ে এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি। এঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন ঔষধ ব্যবসায়ী, হাসপাতালের ষ্টাফ ও অনেকেই ডাক্তার হারুন অর রশিদে ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।