• Sat. Dec 21st, 2024

দৈনিক পাবনার আলো, মাহফুজ আলী কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত

#pabnaralo#, pabna# pabnanews# পাবনারআলো# পাবনার_আলো#পাবনারখবর#পাবনারবার্তা

কুষ্টিয়া ও পাবনা র‍্যাবের অভিযানে ১২ জনকে গ্রেফতার ও ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর স্কোয়াড্রন লীডার কোম্পানি কমান্ডার মোঃ তৌহিদুল মবিন খান এর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয় ।
র‍্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্ততে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্রটি দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদি পশু চুরি করে আসছিল। চুরির পর চক্রের কয়েকজন চুরির স্থান নির্ধারন করে, কয়েকজন চোরাই গরু ট্রাকে করে এক জেলা হতে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত করে এবং এই চক্রেরই বাকি সদস্যরা চোরাই গরু বিক্রয়ের কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরেই র‌্যাব এই আন্তঃজেলা চোর চক্রটিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।বৃহস্পতিবার( ১৭ আগস্ট) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে গরু চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চোরাই গরু গুলোকে লুকিয়ে রেখে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া বাসায় আত্মগোপন করে আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব প্রথমে চোরাই চক্রের অধিকাংশ সদস্যকে পাবনার ঈশ্বরদী হতে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪ টি চোরাই গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। এর মধ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হতে চুরি করা গরু ছাড়াও দেশের আরও বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা গরু রয়েছে। এছাড়া আরো বেশ কিছু গরু ইতোমধ্যেই হাত বদল হয়ে গিয়েছে বলে আসামীরা র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। পাবনা র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৪/১৫ ঘন্টা ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। গবাদি পশু চুরি এবং চোরাই পন্য নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয়ের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ১। মোঃ রহিম মোল্লা (৩৪), পিতা-চাঁন মোল্লা, সাং-আলগাঁদিয়া, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর, ২। মোঃ শফিকুল মুন্সী @ আদিল (২৫), পিতা মোঃ হারেজ মুন্সী, সাং-আলগাঁদিয়া, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর, ৩। মোঃ গোফ্ফার মোল্লা (২২), পিতা-মোঃ মোতালেব মোল্লা, সাং-বাটিলক্ষীপুর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-ফরিদপুর, ৪। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), পিতা-মৃত রফিজ উদ্দিন মন্ডল, সাং-ভবানীপুর, থানা-পাংশা, জেলা-রাজবাড়ী, ৫। মোঃ জামাল (২৩), পিতা-আঃ রাজ্জাক, সাং-রামকান্তপুর, থানা-সালথা, জেলা-ফরিদপুর, ৬। মোঃ বাগানে মোল্লা (২০), পিতা-মোঃ ইয়াছিন মোল্লা, সাং-শিরগ্রাম ধোপাপাড়া, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর, ৭। মোঃ মফিজুল ইনলাম (২২), পিতা-মোঃ আবুল খায়ের, সাং-নাগদি, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর, ৮। মোঃ অনিক বিশ^াস (২৬), পিতা-মোঃ হারুন বিশ^াস, সাং-ডুমাইন, থানা-মধুখালী, জেলা-ফরিদপুর, ৯। মোঃ মিল্টন (২৪), পিতা-মোঃ মজিবর রহমান, সাং-সাতুর বাজার, থানা- বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর, ১০। মোঃ নাহিদ মিয়া (২৬), পিতা-মোঃ ইউনুছ মিয়া, সাং-সন্তোষী, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুর, ১১। মোঃ আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), পিতা-মোঃ আব্দুল বাকের শেখ, সাং-খামারপাড়া, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর, ১২। মোঃ মুন্না (১৯), পিতা-মৃত রফিজ উদ্দিন মন্ডল, সাং-ভবানীপুর, থানা-পাংশা, জেলা- রাজবাড়ী, ১৩। মোঃ শামিন সর্দার (৩৫), পিতা-মোঃ মুল্লুক সর্দার, সাং-কোলদিয়াড় ভুরকাপাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া।
র‍্যাব আরো জানায়, এই চক্রের মূল হোতা রহিম মোল্লা দলের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে।এই চোরাইচক্রের গ্রেফতারকৃত সকল সদস্যই, বিভিন্ন জেলা থেকে গরু চুরি করে অন্য জেলায় তা বিক্রয়ের করার কথা র‌্যাবের কাছে অকপটে স্বীকার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর মাধ্যমে র‌্যাব আরও বেশ কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে। এই চক্রের আরো বেশ কয়েকজন সদস্য ও বর্তমানে পলাতক আছে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আরো চোর চক্রের হোতাদের গ্রেফতার এবং এই চক্রের অন্যান্য পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাবের অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। চোর চক্রের সদস্যেদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় তারা প্রায় সকলেই ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা গোপালগঞ্জ ছাড়াও এর আশেপাশে নড়াইল, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দীর্ঘদিন যাবত প্রান্তিক খামারী ও কৃষকদের বসতবাড়ী থেকে গরু চুরি করে তা অন্যান্য জেলায় তাদের প্রতিনিধি মারফত হাত বদল করে আসছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *