ডেস্ক নিউজ ॥ আগামী ২৬ জুন কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল মঙ্গলবার মহাখালীর আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নারী গবেষকদের অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে কলেরা টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
টিকাকেন্দ্রে স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকবে। যারা আসবে তাদেরকেই টিকা দেওয়া হবে এবং প্রত্যেকেই টিকা কার্ড পাবে।
আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র পরিচালক অধ্যাপক ডা ফেরদৌস কাদরী বলেন, ‘এই টিকা আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্যাভির কাছ থেকে নেওয়া। আমাদের দেশেও একটি রেজিস্টার্ড টিকা আছে। তবে সেটা এবার দেওয়া হবে না। ‘
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন সংক্রমিত হতো। এখন শতাধিক। আমি মনে করি টেস্ট বেশি করলে সংক্রমণের হার আরো বেশি পাওয়া যাবে। আগে শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এখন প্রায় ২ শতাংশের ওপরে। সারা দেশে হাসপাতালে ২০ জন রোগীও নেই। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে গেলে মৃত্যুও বাড়বে। এখনো অনেক মানুষ বুস্টার ডোজ নেওয়া বাকি আছে। যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তারা বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসুন। ‘
তিনি আরো বলেন, এখন কেউ মাস্ক পরে না। সামাজিক দূরত্ব নেই। স্কুল-কলেজ-বাজারঘাট সব আগের নিয়মে চলে এসেছে। এ জন্য করোনা বাড়তির দিকে। পাশাপাশি দেশ থেকে যারা লোক আসে তারাও করোনা নিয়ে আসে। তারা টিকাপ্রাপ্ত আরটি পিআিরও করা লাগে না। তাই ডিটেক্ট করতে পারি না। অন্যান্য দেশে করোনা আরো বাড়লে আগের মতো টেস্ট করে আসার নিয়ম আবার জারি হবে।