ডেস্ক নিউজ ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণে নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে ঢাকা থেকে আসা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষজ্ঞ দল। সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণে নিহতদের শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বুথ করা হয়েছে। সেখানে বসেই স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করছেন সিআইডি বিশেষজ্ঞেরা। নিহতদের স্বজনেরা পুলিশের সহায়তায় ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা দিচ্ছেন। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর পরিচয় শনাক্ত হলে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। অন্যান্যদের মতো নিহত বাবার খোঁজে ডিএনএ দিতে এসেছে ৭ মাসের ফাইযা রহমান। ডিএনএ নমুনা দিতে মায়ের কোলে চড়ে সকালে হাসপাতালে এসেছে সাত মাসের ফাইযা। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বিএম কনটেইনার ডিপোতে আইসিটি দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবহানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ে ফাইযা তারই মেয়ে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন , মোট ৪১টি মরদেহ চমেক হাসপাতাল আনা হয়েছিল। এরই মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ১৮ জন লাশের পরিচয় নিশ্চিতকরণের জন্য স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।