পাবনা জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি তিল-৪, ৫, ৬ জাত গুলো জনপ্রিয় হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার আটঘরিয়া উপজেলার বাঐখোলা গ্রামে ১৫০ বিঘা জমিতে বারি তিল-৪, ৫, ৬ আবাদে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষক। এ জাতগুলো জেলায় সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে গত ২ জুন “বাংলাদেশে তৈল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই, পাবনার সহযোগিতায় এক মাঠ দিবেসের আয়োজন করা হয়। মাঠ দিবেসে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী বেগম এর সভাপতিত্বে এবং মোঃ জাহিদুল হাসান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মোঃ মহি উদ্দিন, পরিচালক, ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, ড. মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, জয়দেবপুর, গাজীপুর। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ সাইয়েদুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, শ্যামপুর, রাজশাহী, ড. মোঃ রবিউল আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, বারি, জয়দেবপুর, গাজীপুর, ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, উপ-পরিচালক, ডিএই, খামারবাড়ী, পাবন, পাবনা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বিএআরআই এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অপূর্ব কুমার চাকী, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ জাহিদুল হাসান ও মেহেরা আফরোজ সুবর্ণা। তথ্য মতে, বারি তিল-৪, ৫, ৬ জাতগুলো উচ্চ ফলনশীল, রোগ বালাই প্রতিরোধী ও স্বল্পমেয়াদী। প্রধান অতিথি ড. দেবাশীষ সরকার মহোদয় ঐ এলাকায় বারি তিল-৪, ৫, ৬ এবং এর সম্ভাব্য ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সভাপতির বক্তব্যে ড. ফেরদৌসী বেগম ঐ এলাকায় তিল চাষের সুযোগ সুবিধা এবং বাধাগুলো উল্লেখ করার পাশাপাশি বারি তিল- ৪, ৫, ৬ এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন বারি তিল- ৪, ৫, ৬ জাত উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ বালাই প্রতিরোধী। বারি তিল- ৪, ৫, ৬ উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষকদের বাদামি, সাদা ও কালো তিলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীবৃন্দ জানান বারি তিল- ৪, ৫, ৬ জাতগুলো চাষ করে তিলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা সম্ভব। কৃষকরাও মাঠ পর্যায়ে এই জাতগুলো দেখে উচ্চ ফলন প্রাপ্তির আশা ব্যক্ত করে এবং ভবিষ্যতে ঐ এলাকায় ব্যাপকভাবে এই জাতগুলো চাষ করবে বলে অভিমত পোষণ করেন।