আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ই
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন ডামাডোলে আমরা যন ভুলে না যাই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা গণহত্যা করেছেন। এখানে কোনো ক্ষমা নেই, গণহত্যার কোনো ক্ষমা হতে পারে না। এ জায়গাতে আমাদের খুব শক্তভাবে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম যে দলটি দাঁড়িয়েছিল সে দলটি হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। প্রথম যিনি প্রতিবাদ করেছেন তিনি আ স ম আবদুর রব। রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তনের কথা অনস্বীকার্য বলায় জেএসডিকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বর্তমান সময়টা যে খুব সতর্কতার সঙ্গে অতিক্রম করতে হবে। ধৈর্য ধরে আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে একটাই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে- ভয়াবহ যে জঞ্জাল সেটা দূর করে অর্থবহ একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করার। রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছেন তারা। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সংস্কার টেকসই হয় না। জনগণের যদি কোনো সমর্থন না থাকে তবে সে সংস্কার কোনোভাবেই স্থায়ী হয় না।
ড. ইউনূস সরকার সফল হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি সমাদৃত। সচেতন হয়ে আপনারা (উপদেষ্টারা) কাজ করবেন। আমরা চিন্তিত তখনই হই, তখনই আমাদের খটকা লাগে, উদ্বিগ্ন হই, যখন সরকারের থাকা উপদেষ্টারা এমন কোনো কথা বলেন। এমন কোনো কথা বলবেন না, এমন কাজ করবেন না যেটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কোনো বিপ্লবী রাজনৈতিক দল নয়, এটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি; আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী।
বর্তমান সরকারের মেয়াদ নিয়ে তিনি বলেন, সম্ভবত স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন- ৪ বছর আমাদের সরকারের মেয়াদ। এসব কথা তার বলার কথা না, তারা তো কমিশন গঠন করেছেন, সেই কমিশন প্রস্তাব দেবে, জনগণ গ্রহণ করবে। তারপর না হয় সেটি ৪ বছর না ৫ বছর সেটি সিদ্ধান্ত হবে। এমন কাজ তো শেখ হাসিনাও করতেন, যেকোনো কিছু তিনি ৪-৫ বছর আগেই বলতেন। এমন কোনো কথা কখনো আপনাদের সঠিক পথে নিয়ে যাবে না।
আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া জনগণকে কেউ উপস্থাপন করতে পারে না, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে কথা বলা দরকার। সব সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সবাই মিলে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। দেশকে একবারে ফোকলা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। এতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।