দৈনিক পাবনা আলোর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য !!
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার আটঘরিয়া থানার একদন্ত ইউনিয়নের ষাইটগাছা গ্রামের হাসেন আলীর বাঁশের ঝোড় থেকে তমা নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।তার পরেই অনুসন্ধানে নামে দৈনিক পাবনার আলোর একটি অনুসন্ধানী দল। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর সব তথ্য। ভিকটিম তমার মা জানান । ষাইটগাছা গ্রামের সাবেক মেম্বার আদম আলী আমার ভাসুর হওয়ার সুবাদে নিয়মিতই আমার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো । আমার স্বামীর আমি ছাড়া আরো দুইটা স্ত্রী রয়েছে, যার কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে মারধর করত । আর সেই বিচার সালিশ করতে আসতেন আমার ভাসুর আদম আলী। একদিন আমার বাড়িতে এসে আমাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ভাবে । ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে বিভিন্ন সময় আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং ব্ল্যাকমেইল করে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেন, আমাকে বলতেন কেউ কিছু জানতে পারলে তোকে প্রাণে মেরে দিবো। প্রতিবারের মতো সেদিন ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ সোমবারে আমার বাড়িতে আসেন আদম আলী,সেদিন আমার মেয়ে তমা তাকে চা বানিয়ে খাওয়ায়। তারপরে আমার মেয়ে তমাকে বেরাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় আদম আলী। পরে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলে তমা বাড়িতে না আশায়,আমি আদমকে বার বার মোবাইলে কল দিতে থাকি কিন্তুু সে কল রিসিভ করে না । পরে আমার স্বামী নায়েব আলী কাজে থেকে বাড়িতে আসলে আমি সবকিছু খুলে বলি। তমার বাবা নায়েব আলী জানান, আমার চাচাতো ভাই আদম আলীকে আমি বেশ কয়েকবার
কল দেওয়ার পরে তিনি রিসিভ করে বলেন আমি তোমার মেয়ে তমাকে বিস্কুট কিনে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি । একথা শুনে আমি পাগলের মত আমার মেয়েকে খুঁজতে থাকি কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়নি। পরের দিন ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আমার বাড়ির পাশে জঙ্গলে খুঁজতে থাকি। পরে হাচেন আলীর বাঁশ ঝোড়ে গেলে দেখতে পায় আমার মেয়ে পড়ে আছে,মেয়ে তমাকে দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়।আদম আলী এবং তার ভাই আজাদ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয় নিজের ছোট ভাইকে হত্যা করার মাধ্যমে । এলাকায় শালিস বিচারের নামে চাঁদাবাজি, এলাকার মানুষকে মারধোরসহ বিভিন্ন অপরাধ কায়েম করে যাচ্ছেন তারা । , এলাকায় নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান আমাদের এলাকার মানুষকে আদম আজাদসহ তাদের সন্ত্রাসী দল জিম্মি করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গভীর রাতে চলে যায় তাদের বাড়িতে। আমরা সাধারন জনগন তাদের থেকে মুক্তি চায়। আদম তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তার দুই ছেলেকে বানিয়েছে সন্ত্রাস এবং খুন করিয়েছে একই এলাকার রফিকুল ্ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে । আস্তে আস্তে তারাও হয়ে উঠেছে ভয়ংকার সন্ত্রাসী এ যেন সিনেমা কেউ হার মানায় । আদমের বড় ছেলের নাম সাগর এবং মেজো ছেলের নাম শাহীন। শাহিন আর সাগর মিলে তৈরি করেছে একটি গ্যাং, সেই গ্যাং এর মাধ্যমে তারা এখন এলাকায় সন্ত্রাসী রাজ্যের রাজা । তথ্যসূত্রে জানা গেছে,আদম আলী বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও,
আওয়ামী লীগ সরকার থাকা কালীন আওয়ামী লীগ পন্থী কিছু নেতাকর্মীদের হাত করে এলাকায় টিকে ছিলেন । ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরই। আদম হয়ে উঠেছে আরো হিংস্র, বর্তমানে আদম একদন্ত ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি।