প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার কর্তৃক, দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূসের উপর একের পর এক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়েরের ঘটনায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এবিষয়ে ১৬০জন বিশ্বনেতার চিঠির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব দরবারে এ ঘটনা দেশ ও জাতীর মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করে দিয়েছে। নোবেল বিজয়ী একজন মানুষ জাতীর গর্ব, মাথার মুকুট। অবিলম্বে জাতীর মাথার মুকুট ড. ইউনূসের প্রতি দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহার করে দেশ ও জাতীকে কলঙ্ক থেকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। আজ (০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) বেলা ১১.০০টায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আয়োজনে, দলীয় নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও বক্তব্য রাখেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি মহাসচিব মোস্তফাজির রহমান মোস্তফা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, মুসলিম লীগ স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এড. আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিঃ মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, কেন্দ্রীয় নেতা খান আসাদ, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, এড. হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, আব্দুল আলিম, ছাত্রনেতা মোঃ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে অর্থ লোপাট আর পাচারের মচ্ছব, গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র, মানবাধিকার ও বিচার ব্যবস্থার চরম অবনতিতে জনগণ হাড়ে-মাংসে উপলব্ধি করছে যে রূপকল্পের নামে তাদের সাথে চরম ভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। তারা দশ টাকা সের চাল আর বিনামূল্যে সার পায়নি বরং হারিয়েছে মানবাধিকার আর বাক-স্বাধীনতা। ক্ষমতাসীনদের আর্শীবাদপুষ্ট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাদের ন্যূনতম আত্ম-সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে। ডিজিটাল আর স্মার্ট বাংলাদেশের নামে বিনা-ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, দিনের ভোট রাতে হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের মতামত প্রকাশের শেষ সুযোগ ভোটাধিকারটুকু পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুই দুইটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন থেকে জনগণ নিশ্চিত হয়েছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোন সুযোগ নেই। জনগণ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে যে, একমাত্র নির্বাচন-কালীন দল নিরপেক্ষ সরকারই ফিরিয়ে দিতে পারে তাদের ভোটাধিকার, পুন-প্রতিষ্ঠিত করতে পারে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর বাক-স্বাধীনতা। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন-কালীন দল নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার পুন-প্রতিষ্ঠাই তাদের ঘরে ফিরিয়ে নেয়ার একমাত্র শান্তিপূর্ণ উপায়। তাতে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকিটুকু থাকলেও দলীয় রাজনীতিটা অন্তত অক্ষুণ্ণ থাকবে। ক্ষমতাসীনদের একগুঁয়েমির কারণে গণআন্দোলন অচিরেই যখন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেবে তখন আম-ছালা দুইই যাবে। জনগণের ঘৃণার মুখে দাড়িয়ে কোন দলেরই টিকে থাকার নজীর ইতিহাসে নেই।