• Fri. Oct 11th, 2024

দৈনিক পাবনার আলো, মাহফুজ আলী কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত

#pabnaralo#, pabna# pabnanews# পাবনারআলো# পাবনার_আলো#পাবনারখবর#পাবনারবার্তা

্#৩৯;প্রকৃত সাংবাদিকতা করতে গেলে মির্জা শামসুলইসলামকে অনুসরণ করতে হব্#ে৩৯;——স্মরণসভায় বক্তারা

বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা) : মির্জা শামসুল ইসলাম তার কাজের মাধ্যমে
বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। যতদিন কাগজ কলম আছে, ততদিন থাকবেন
তিনি। মির্জা শামসুল ইসলাম, রনেশ মৈত্র, আনোয়ারুল হকসহ পাবনা
প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের পদচারণায় পাবনা প্রেসক্লাব মুখর থাকতো। এসব
গুনী মানুষ নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে। মফস্বলে
থেকে ঢাকা ডেস্কের সাথে সমানতালে কাজ করেছেন মির্জা শামসুল ইসলাম।
তিনি ছিলেন আপাদমস্তক স্বনামে খ্যাত সাংবাদিক। মেধা প্রজ্ঞায় রোল মডেল
ছিলেন। প্রকৃত সাংবাদিকতা করতে গেলে মির্জা শামসুল ইসলামকে অনুসরণ
করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, বিটিভির সাবেক
জেলা প্রতিনিধি, বিশিষ্ট সাংবাদিক মির্জা শামসুল ইসলামের ২৪তম
মৃত্যবার্ষিকীতে স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পাবনা প্রেসক্লাবের
উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়
স্মরণ সভা।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের পচিালনায় স্মরণসভায় স্বাগত
বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ। সভায় আরও বক্তব্য
দেন, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পাবনা প্রেসক্লাবের
সহসম্পাদক খান সারোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, মির্জা শামসুল ইসলামের ছেলে
মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চল ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল মির্জা,
প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির সদস্য রাজিউর রহমার রুমী, সদস্য ড. নরেশ চন্দ্র
মধু, কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মির্জা শামসুল ইসলাম এমন কিছু রিপোর্ট করেছিলেন, যা সারা
বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অনন্য।
কিভাবে একটা সংবাদকে বস্তুুনিষ্ঠ ও সাধারণের মানুষের কথা হিসেবে তুলে ধরা
যায়, তিনি তা দেখিয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি সাংবাদিকতা
করেছিলেন। পাবনার সাংবাদিকদের জন্যও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ভুট্টা আন্দোলনের খবর তিনি লিখেছেন সাহসিকতার সাথে। ওই সময় ভুট্টা
আন্দোলনের খবর লেখার কেউ ছিলেন না। সেই সময় সংবাদ পত্রিকায় ধরানোর জন্য
যুদ্ধ করতে হতো জেলার সাংবাদিকদের৷ এক্ষেত্রে মির্জা শামসুল ইসলাম ছিলেন
এগিয়ে। তার রিপোর্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হতো দৈনিক বাংলায়, এতটাই
ক্ষুরধার লেখা ছিল তার। পাবনাকে তুলে ধরায় তার মুন্সিয়ানা ছিল। সংবাদের
বিষয়বস্তু বোঝার আলাদা দক্ষতা ছিল তার। পরে পাবনা প্রেসক্লাবের নামাজ ঘরের
ইমাম হাফেজ তরিকুল ইসলাম বিশেষ মোনাজাত পচিালনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *