রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম এবং রাশিয়ার অন্যতম
বৃহৎ জ্বালানী প্রতিষ্ঠান টিএসএস গ্রুপ ভাসমান পরমাণু
বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান ও পরিচালনার লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার
কোম্পানি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জওঞগ-২০০গ
রিয়্যাক্টর ভিত্তিক এই ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো থেকে বিদেশে
গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সম্প্রতি রাশিয়ার
সোচিতে সমাপ্ত আন্তর্জাতিক এনার্জি ফোরাম
‘এটমএক্সপো ২০২৪’ চলাকালে উভয় প্রতিষ্ঠান এই যৌথ
বিনিয়োগের বিভিন্ন মূল শর্তাবলীর বিষয়ে একটি চুক্তি
স্বাক্ষর করে। ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোর উৎপাদন ক্ষমতা হবে
ন্যুনতম ১০০ মেগাওয়াট এবং লাইফসাইকেল ৬০ বছর।
রসাটমের যন্ত্রনির্মান বিভাগের উপ-প্রধান ভøাদিমির
আপটিকারেভ এ প্রসঙ্গে বলেন, “রাশিয়া এবং এর বাইরে ভাসমান
পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে আগ্রহ অনেকাংশে বৃদ্ধি
পেয়েছে। উত্তর মেরু অঞ্চল এবং গরম আবহাওয়ার দেশগুলোর প্রতিকুল
পরিস্থিতিতেও ভাসমান এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো নির্বিঘ্ধেসঢ়;ন কাজ
করতে সক্ষম। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে
আমরা বিদেশী পার্টনারদের লো-কার্বন সমাধান প্রদানের
পাশাপাশি সর্বোচ্চ অনুমানযোগ্য বিদ্যুৎ ট্যারিফ অফার করতে
সক্ষম হব”।
টিএসএস গ্রুপের চেয়ারম্যান সের্গেই ভেলিচকা তার মন্তব্যে
বলেন, “দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে চলমান ও ভবিষ্যৎ এনার্জী
সংকট মোকাবিলায় ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি
কার্যকরী সমাধান। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভবিষ্যৎ বছরগুলোতে
এজাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানে বিনিয়োগ তাৎপর্যপূর্ণ
ভাবে বাড়বে। এর অন্যতম আরেকটি কারণ হলো, বিশ্বব্যাপী
ক্রমবর্ধমান এনার্জি চাহিদা মেটাতে নতুন পরমাণু প্রযুক্তি
যুক্ত হতে যাচ্ছে”।
ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র একদিকে যেমন কার্যকরী অন্যদিকে
পরিবেশ বান্ধব। দূর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এগুলো
অনন্য। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা অত্যন্ত ফ্লেক্সিবল এবং গ্রাহকের
চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র
গুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য
ভবিষ্যৎ দশকগুলোতে কেমন হবে তা মোটামুটি সঠিকভাবে
অনুমানযোগ্য।