সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া(পাবনা): বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী কবাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটাক্ষ ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ এর স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন পালন করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া পৌর আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত ভাঙ্গুড়া বাজারের বকুলতলা রেল চত্বরে এই মানববন্ধন পালন করেন। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শত শত ব্যক্তি এই মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
জানা গেছে, সরদার আবুল কালাম আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাাবিত নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বাকী বিল্লাহ এর আপন ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেনের আপন ভাগ্নে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক রানা, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ বরাত আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মোখলেসুর রহমান সাঈদ।
এ সময় বক্তারা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ কর্মময় জীবন ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর ভূমিকা তুলে ধরেন। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ তার নিজের ফেসবুক আইডিতে কুরুচিপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক স্ট্যাটাস দেয়ার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে এমন কর্মকান্ড করায় সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। সেই সাথে এমন অকৃতজ্ঞ লোককে আওয়ামী লীগ থেকে দ্রুত বিতাড়িত করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সুইট স্বাক্ষরিত এক পত্রে সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও প্রস্তাবিত ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বহিস্কার করেন। সেখানে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফেসবুকে অসৌজন্যমূলক ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় এবং কেন তাকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না মর্মে পত্র প্রাপ্তির সাত কর্ম দিবসের মাধ্যে জানাতে চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বিতর্কিত (‘হাসিনার নিয়ম-নীতির বিবর্তনে, এই অঞ্চলে নেতাকর্মী-জনগণের চরিত্রে পালাক্রমে ধর্ষণ চলিতেছে। তবুও আমি সতী’।) এমন স্ট্যাটাসটি দেন। বুধবার সকাল থেকেই তার স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। দলের পদধারী নেতার এমন স্ট্যাটাসে ক্ষোভে ফুঁছে ওঠেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে সমালোচনার মুখে বুধবার (১ মে) দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যবর্তী কোনো এক সময় তিনি ওই স্ট্যাটাসটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন।