২৬-৭-২০২৩
সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া(পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়া শামীম হোসেন(২০)নামের এক
যুবককে অনলাইন সেন্টারে অনৈতিক কাজের অভিযোগে স্থানীয় জনতার হাতে আটকের পর
অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশী পাহারায় উদ্ধার হয়েছেন। সোমবার(২৪ জুলাই)
রাতে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কলকতি গ্রামে আতিকের অনলাইন সেন্টারে এ ঘটনা
ঘটে। শামীম হোসেন নিজেকে অনলাইন কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন এবং তিনি পৌর সদরের
উপজেলা পাড়ার ওয়াজেদ আলীর ছেলে। এ সময় ক্ষুদ্ধ জনতা ওই যুবকের অনৈতিক কাজের বিচার
দাবী করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
জানা গেছে, শামীন হোসেন উপজেলা পাড়ায় অনলাইনে কাজ করেন। সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমে অষ্টমনিষা এলাকার জনৈক ব্যক্তির পায়েল (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়ের
সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনলাইনে কাজ করার সুবাদে কলকতি এলাকার আতিক এর
সাথে শামীমের সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে সোমবার রাতে শামীম তার প্রেমিকাকে নিয়ে
আতিকের ভাড়া বাসায় অর্থাৎ অনলাইন সেন্টারের পরিত্যক্ত কক্ষে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।
অসময়ে নির্জন কক্ষে ছেলে মেয়ের প্রবেশের বিষয়টি স্থানীয় জনতার নিকট সন্দেহজনক মনে
হলে ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হলে অল্প সময়ের মধ্যে
কয়েকশ গ্রামবাসি জড়ো হয়ে অনলাইন কর্মী আতিক ও শামীম এর বিচার দাবী করতে থাকেন।
ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানার পর শামীম এর প্রেমিকাকে নিজ
হেফাজতে নিয়ে পরে কৌশলে ভাগিয়ে দেন মর্মে অভিযোগ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দার। সে
সময় অনলাইন সেন্টারের মালিক আতিকের দেখা মেলে নি। বিষয়টি নিয়ে এ সময় তারা আরও
দাবী করেন অনলাইনে কাজ করার কথা বলে আতিক বিভিন্ন সময়ে অপরিচিত লোক তার সেন্টারে
নিয়ে এসে অনৈতিক কর্মকান্ড করান। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ কল দিলে ভাঙ্গুড়া থানা
পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে অভিযুক্ত শামীমকে পুলিশী পাহারায় উদ্ধার করে
নিরোপদে নিযে আসেন
এ ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর
পরই মেয়েকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছি। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে এলাকায়
শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনা স্থলে একাধিক পুলিশ সদস্য হাজির হয়ে এক যুবক কে উদ্ধার করা
হয়েছে।