• Thu. Oct 3rd, 2024

দৈনিক পাবনার আলো, মাহফুজ আলী কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত

#pabnaralo#, pabna# pabnanews# পাবনারআলো# পাবনার_আলো#পাবনারখবর#পাবনারবার্তা

বি জে পি’র মুখোশ উন্মোচিত ঃ সর্বত্র বিক্ষোভের ঝড়

বি জে পি ভারত সরকারের প্রধান রাজনৈতিক দল। দলটি পর পর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলীয় নেতা নরেন্দ্র মোদির,নেতৃত্বে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করে আসছে। ক্ষমতায় আসার মূল কারণ,বি জে পি বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা এবং সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের নাম করে কয়েক দশক আগে সমস্ত ভারতব্যাপী নানাবিধ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যে উগ্র মুসলিম-বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক আবহ রচনা করেছিল-তার উপর ভিত্তি করেই। ভারতে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বি জে পি দীর্ঘদিন ধরেই ঘোষণা করে আসছে এবং তার পথ ধরেই তাদের দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ।
সিংহাসনে আরোহণের পটভূমি অসীম যোগ্যতা এবং সুপরিকল্পিত কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে ভারতের মত একটি দীর্ঘকালের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যম-িত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মত উগ্র মুসলিম-বিদ্বেষী ঘটনা ঘটাতে দ্বিধা করে নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতব্যাপী মুসলমান-বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটিয়ে ভারতের রাজপথ গুলিকে রক্তাক্ত করে তুলতে বি জে পি নেতারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন নি।
নিগৃহীত ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ও বিনা প্রতিবাদে ঘটনাবলী সয়ে যান নি। যেখানেই সম্ভব হয়েছে,সেখানেই তাঁরাও পাল্টা আঘাত হেনেছেন। ফলে বহু মুসলিমকে যেমন মরতে হয়েছিল-মসজিদ মাদ্রাসার ধ্বংস সাধন করা হয়েছিল-তেমনই আবার মুসলিম সম্প্রদায়ের এক অংশ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে গিয়ে হিন্দু-নিধন,মন্দির-প্রতিমায় আগুন দিতে নিয়েও মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়েছিল।
ঘটনাগুলি নব্বই এর দশকের গোড়ার দিকে সংঘটিত হয় কিন্তু-তার আগুন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেও ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশ দুটিতে একতরফাভাবে সংখ্যালঘু নিধন,মন্দির-প্রতিমায় ও তাঁদের বাড়ীঘর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে অবাগ্র ঘ্রাণ ও সম্পদের বিসর্জন ঘটলেও এ সব বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি।
এ সবের মধ্য দিয়ে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যার একটি বড় অংশ উগ্র সাম্প্রদায়িক আবহে প্রভাবা¤িœত হয়ে পড়েন। ফলে দেশে বি জে পি একটি শক্তিশালী অবস্থানে চলে যায়। তাদের মধ্যে প্রতিকূল বা বিরোধী সব কিছুর প্রতি একটা ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাবের জন্ম নেয়। সেই মনোভাব বি জে পির মূল নেতৃত্ব আজও বেমালুম লালন করে চলেছেন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে বি জে পি নেতৃত্বাধীন সরকার সে দেশের মুসলমান ও খৃষ্টানদেরকে হিন্দু বানানো শুরু করে। এর পেছনে যুক্তি হিসাবে তারা দাঁড় করায় একটি বিস্ময়কর তত্ত্ব। তাঁরা বলেন, ভারতবর্ষ শতভাগ হিন্দুদের দেশ। পরে আরব দেশগুলি থেকে মুসলমানরা এ দেশেএসে হিন্দুদেরকে মুসলমান বানায়-ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে। তেমনি আবার ভারতে খৃষ্টানদের আবির্ভাব ঘটে ইংরেজদের ভারত দখলের পর। ভারত দখলের পর তারা নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল সংখ্যক হিন্দু ও মুসলমানকে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করে। তাই-তারা ভারতের মূল ধর্ম-হিন্দুধর্মে ফিরিয়ে আনতে তারা কর্মসূচী নিয়েছে।
এর বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের দেশগুলি থেকে কঠোর প্রতিবাদ উত্থিত হলে এক পর্যায়ে নিঃশব্দে বি জে পি নেতৃত্ব মুসলমানদের ও খৃষ্টানদের হিন্দু বানানোর কর্মর্সূচী পরিত্যাগ করে। কিন্তু ধর্মান্তরিত হওয়ায় ভীতি আজও ভারতীয় মুসলমান ও খৃষ্টানদেরকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
এর পরে এলো গোমাংস খাওয়ার উপরে সরকারী নিষেধাজ্ঞা। অকষ্মাৎ জারীকৃত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মুসলিম সম্প্রদায় মারাত্বক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। হিন্দু ধর্মে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করে বি জে পি নেতারা বলেন, ভারত যেহেতু হিন্দুদের দেশ-এবং হিন্দু ধর্মে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ-তাই ভারতের মাটিতে কেউ গোমাংস খেতে পারবেন না। এমন কি, গরু জবেহ করার ফলেও ভারতের কোনো এলাকায় মুসলমানরা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু গোমাংস বেশ কয়েকটি রাজ্যের বি জে পি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও,কেন্দ্রীয় বা কোনো রাজ্য সরকারই গো-হত্যা নিষিদ্ধ করেন নি। বরং ভারত হলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ গোমাংস রফতানিকারক দেশ।
এরপর বি জে পি সরকার হাজির হলো তাদের তৈরী নতুন একটি আইন নিয়ে যার মাধ্যমে মুসলমানদেরকে ভারতের নাগরিক নয় বলে তাদেরকে পুশব্যাক করা ও তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার উদ্যোগ। এর বিরূদ্ধে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠায় এবং নানা আন্তর্জাতিক মহল এর বিরোধীতা করায় আইনটির প্রয়োগ সংগোপনে স্থগিত রাখা হয়।
অতঃপর কাশ্মীরের বাসিন্দাদেরকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে অতীতের কংগ্রেস নেতা জওয়াহের লাল নেহেরু ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যে আইন করেছিলেন,অকষ্মাৎ বছর তিনেক আগে তা বাতিল করা হয় এবং আইনটি বাতিলের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনের আশংকা করে আইন জারীর আগেই কাশ্মীরে সান্ধ্য আইন,ইন্টারনেট সূযোগ প্রত্যাহার,ব্যাপক ধরপাকড় প্রভৃতি পদক্ষেপ গ্রহণ করে কাশ্মীরে এক আতংক সৃষ্টি করা হয় । কাশ্মীরবাসী(অধিকাংশই মুসলমান) এই নতুন সান্ধ্য আইন আজও মেনে নেন নি।
বিশ্বব্যাপী ঘৃণিত বি জে পি
দুই সপ্তাহ আগে ইসলাম ও নবী মোহাম্মদ(সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ভারতের ক্ষমতাসীন বি জে পি দলটির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে দেশী-বিদেশী নিন্দার মূখে বরখাস্ত করে। একই সঙ্গে বি জে পির দিল্লীর গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালকেও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
অপরদিকে ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ কাতার,কুয়েত ও ইরান ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে বি জে পি ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বি জে পির ওই সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে-মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চল ভারতের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল ছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চলের ১০ টি দেশ সৌদি আরব, কাতার, ইরান, ইরাক, বাহরাইন, কুয়েত, আরব আমিরাত, ওমান, জর্ডান ও ইয়েমেনে বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর এক-পঞ্চমাংশ বাস করে। মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কণ্ঠ তাদেরই।
ভারত বছরের পর বছর ইরানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। ওই অঞ্চলে গ্যাস সমৃদ্ধ কাতারও ভারতের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উপসাগরীয় অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো তেল,গ্যাস ও বাণিজ্য। এর সঙ্গে আরও দুটি কারণ হলো- উপসাগরীয় অঞ্চলে অনেক ভারতীয় কাজ করেন এবং তারা ভারতে বিপুল অংকের রেমিট্যান্স পাঠান।
সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের মতে,গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা উপসাগরীয় সহযোগী সংস্থা,যার সদস্য আরব আমিরাত,বাহরাইন,ওমান,কাতার এবং কুয়েত ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের ভবিষ্যত বিনিয়োগ শরীক হিসেবেও তাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের তেল ও গ্যাসের রিজার্ভ ভারতের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর মধ্যে ২০২১-২২ সালের আরব আমিরাত ছিল ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের ভবিষ্যত বিনিয়োগ শরীক হিসেবেও তাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের ও ভারতের বাণিজ্যের পরিমাণ ৭২.৯ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরব ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
২০১৯ সালে এক অনুষ্ঠানে ভারতের বি জে পি দলীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন,মোদি কেন মুসলিম দেশগুলি থেকে এত সহায়তা পাচ্ছে ? আজ ভারতের ইতিহাসে উপসাগরীয় অঞ্চলগুলির সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক। তিনি আরও বলেছিলেন, ফিলিস্তিন, ইরান, সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং জর্ডানের সঙ্গে ভারতের অসাধারন সম্পর্ক রয়েছে। আর মালদ্বীপ ও বাহরাইন তাদের সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান তাঁকে দিয়েছে ক্ষোভ সামলানোর চেষ্টায় ভারতে মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ক্ষমতাসীন বি জে পির নোংরা ও আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই নয়-সমগ্র ভারতে নানা ধর্মে বিশ্বাসী- বিশেষ করে, মুসলিম সম্প্রদায় ফুঁসে উঠেছেন তাঁদের প্রিয় নবীর ওই ব্যক্ত অবমাননার বিরুদ্ধে। এতে বি জে পির মুখোশ এবং ধর্মান্ধতা ও অন্য ধর্মের প্রতি বিক্ষোভের চিত্র দিন দিনই স্বচ্ছ থেকে স্বচ্ছতর হয়ে উঠছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেল বি জে পি সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে ভারতের উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভ-প্রকাশে অংশ নেয়া দুই অভিযুক্তের বাড়ীঘর বিগত শনিবার,১১ জুন বুলডোজার দিয়ে উঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবারও উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এলাকায় একজন রাজনীতিকের বাড়ী ভেঙে ফেলতে শুরু করেছে প্রশাসন। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায় সেখানে। চার শতাধিক শ্রেষ্ঠতার বিক্ষোভ প্রতিদিনই বাড়ছে।
ভিডিওতে দেখা যায়,বুলডোজার ব্যবহার করে প্রয়াগরাজের রাজনীতিবিদ জাভেদ মোহাম্মদের বাড়ীর ফটক এবং বাইরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, শুক্রবার প্রয়াগরাজে বিক্ষোভ সহিংসতায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের অন্যতম হোতা রাজনীতিক জাভেদ। প্রয়াগরাজে শুক্রবার জুম’আর নামাযের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। প্রয়াগরাজের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে পুলিশের। বুলডোজার দিয়ে বাড়ী ভেঙে ফেলার একটি ভিডিও তে দেখা যায়,রাজনীতিবিদ জাভেদ মোহাম্মদেও ভেতরে ঢুকে পড়েছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।
মসজিদগুলির ইতিহাস বিকৃতি ভারতে মসজিদ ও মুসলিম স্থাপত্য অসংখ্য। সম্প্রতি সেই স্থাপনা ও ধর্মীয় উপাসনাগুলিও নতুন করে হিন্দুত্ববাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। উত্তর প্রদেশের জ্ঞানব্যাপি মসজিদ, দিল্লীর কুতুব মিনার, মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ,আগ্রার তাজমহল এবং আজমিরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাকে নিজেদের ধর্মীয় পীঠস্থান বলে দাবী করেছে হিন্দুত্ব বাদী ঘোর সাম্প্রদায়িক দল বি জে পি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতে ১৯৯১ সালে প্রণীত উপাসনার স্থান (বিশেষ বিধান) আইন অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট থেকে বিদ্যমান যে কোন উপাসনালয়ের রূপান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। তারা এদের পর মুসলিম ঐতিহ্য ও স্থাপনাকে হিন্দুদের স্থাপনা বা তাদের জমী দাবী করে আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে অনবরত সংকট সৃষ্টি করে চলেছে।
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি যদি দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে বি জে পি কে হটিয়ে ভাল অসাম্প্রদায়িক বিকল্প সরকার গঠন করতে পারেন তবেই হবে এগুলির সমাধান।

(লেখক: রণেশ মৈত্র, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *