• Wed. Dec 11th, 2024

দৈনিক পাবনার আলো, মাহফুজ আলী কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত

#pabnaralo#, pabna# pabnanews# পাবনারআলো# পাবনার_আলো#পাবনারখবর#পাবনারবার্তা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনে চুরির ঘটনায় ৪০ দিনেওতদন্ত রিপোর্ট না দেওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাা নিয়ে শঙ্কা

পিপ ঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবপ্রবি) ভিসির বাসভবনে চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৪০ দিনেও তদন্ত রির্পোট দিতে পারেনি। বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাা নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়, গত ২ মে রাতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবপ্রবি) ভিসির বাসভবনের ২৫টি গ্রীল চুরি হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে থানায় অভিযোগ না দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ঐ তদন্ত কমিটি গত এক মাসে একটি বৈঠকও করেনি।
পাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, উপাচার্যের বাসভবনে চুরির ঘটনায় গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ, জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসেন চৌধুরী, সহকারী রেজিষ্ট্রার এসএম জহুরুল ইসলাম ও উপরেজিষ্ট্রার (সিকিউরিটি) এসএম হাসিবুর রহমান কে সদস্য সচিব করা হয়।
তদন্ত কমিটি গঠনের এক মাস ৪০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কমিটি রিপোর্ট প্রদানে গড়িমসি লক্ষ করা যাচ্ছে মর্মে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। প্রক্টর কামাল হোসেনকে সাংবাদিকরা ফোন করলে তিনি বলেন, ‘ভিসির বাঙলোয় চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির অফিস আদেশের কথা জানালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজা খাতুন চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক ছাত্র বার্তা সংস্থাা পিপ‘কে বলেন, ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একের পর এক ঘটছে নানা অঘটন। দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থাা। ফলে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, নির্মাণশ্রমিক ও ঠিকাদারদের মারপিট ভিসির বাঙলোয় দুর্ধর্ষ চুরিরও কোনো ব্যবস্থাা নেওয়া হচ্ছে না। দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীলতা ও গাফিলতিতে অপরাধীরা এভাবে পার পেয়ে যাওয়ায় তারা ক্রমে লাগামহীন হয়ে উঠছে। ফলে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বেড়েই চলেছে।’
পাবনা নাগরিক সমাজের সভাপতি আব্দুল মতীন খান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা সংস্থাা পিপ‘কে বলেন, এই ধরনের চুরির ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছৈ। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশ কে না জানিয়ে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন। আগে এর রহস্য বের করা উচিৎ। চুরির ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরেজিষ্ট্রার (সিকিউরিটি) ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব এসএম হাসিবুর রহমান বার্তা সংস্থাা পিপ‘কে বলেন, এ বিষয়ে প্রক্টর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে বলে শুনেছি। একজন চোর ধরা পড়েছিল। তার পরে কি হয়েছে আর জানিনা। আমরা আগামী কাল রোববার এ বিষয়ে আবার বৈঠকে বসে পরবর্তি করনীয় ঠিক করবো। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা সংস্থাা পিপ‘কে বলেন, বিশ্বািবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে তাদের জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *