• Thu. Oct 3rd, 2024

দৈনিক পাবনার আলো, মাহফুজ আলী কাদেরী কর্তৃক সম্পাদিত

#pabnaralo#, pabna# pabnanews# পাবনারআলো# পাবনার_আলো#পাবনারখবর#পাবনারবার্তা

প্রায় দুই কোটি টাকা আতœ্সাতের অভিযোগে পাবনার ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস ও সাউথ ইষ্ট ব্যাংকের এভিপি মোশতাকসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা

পিপ : এক কোটি ৮৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আতœ্সাতের অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস (৪০) ও সাউথ ইষ্ট ব্যাংক লিমিটেড ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজার ও অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) মোশতাক আহমেদ (৪২)সহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছে পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার ১৯ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সুত্রধর বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে এই মামলা করেন। ইমরুল কায়েস ঈশ্বরদী উপজেলার বিমানবন্দর সড়ক এলাকার রহিমপুর গ্রামের মহিত বিশ্বাসের ছেলে এবং মেসার্স কায়েস এন্টারপ্রাইজের মালিক। মোশতাক আহমেদ রাজশাহী জেলার তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ফারুক আহমেদের ছেলে।
এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাউথ ইষ্ট ব্যাংক লিমিটেড ঈশ্বরদী শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভালুকা গ্রামের আজিমুদ্দিন শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৫৩), ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তরফ সরতাজ গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মো. শামীম আহমেদ (৩৫) ও ব্যাংকের ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার কালুমের গ্রামের মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. ইমরান (৩০)।
দুদক ও এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল অভিযুক্তরা কোন প্রকার নগদ টাকা গ্রহণ না করেই চার কিস্তিতে ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসকে ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার পেÑঅর্ডার প্রদান করেন। দীর্ঘদিন পর ইমরুল কায়েস এক কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা জমা দেন। এর পরেই কোন প্রকার টাকা জমা না দিয়েই ইমরুল কায়েস ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিকেলে বিআর০৪৯৬৪৯৪ পাসপোর্টের ব্যবহার করে সোনা মসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে চলে যায়। এর পরে ব্যাংক বিভিন্নভাবে আরও ৩৮ লক্ষ ২৫ হাজার ৩২৮ টাকা আদায় করে।
সুত্র আরও জানায়, দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদক পে-অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তারা ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রমাণ পান। এ ছাড়া ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস কোন প্রকার টাকা না দিয়ে পে-অর্ডার নিয়ে ভাঙ্গিয়ে টাকা আতœসাত করার অভিযোগও প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৪২০, ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা মোতাবেক ঐ ৫ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ- পরিচালক খায়রুল হক মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার চার্জশীট প্রদান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *