পাবনা অফিস
একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য টিভি, চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনয় শিল্পি। নাট্যকার নির্দেশক পাবনার কৃতিসন্তান সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব প্রয়াত মাসুম আজিজের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাফফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে তার নিজ জেলা শহর পাবনার ফরিদপুর উপজেলাতে। ফরিদপুর উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এই স্মরণসভার আয়োজন করেন পরিবারের সদস্যরা।
১৭ (অক্টোবর) মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ, স, ম, আব্দুর রহিম পাকন, ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম হোসেন গোলাপ।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতিন খান, চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ মাষ্টার, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, ফরিদপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ।
অনুষ্ঠানে শুরুতেই প্রয়াত মাসুম আজিজ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালণ করেন উপস্থিত সকলে। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাসুম আজিজের স্ত্রী সাবিহা জামান। তিনি বলেন, মৃত্যুর পূর্বে প্রয়াত মাসুম আজিজকে একুশে পদক প্রাপ্তিতে যে সম্মান তিনি পেয়েছেন সেটা বলে বোঝাতে পারবোনা। এই সম্মান দেয়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি। একই সাথে বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রয়াত মাসুম আজিজের বড় ভাই শামসুজ্জামান তিনি বলেন, মাসুম আজিজের চাইতে বয়সে ৮ বছরের বড় আমি। কিন্তু আমি বেঁচে আছি আর আমার ছোট ভাই নেই। তবে মাসুম তার জীবিত থাকাকালীন সময়ে যে সম্মান অর্জন করেছেন সেটা আমি করতে পারিনাই। তাই মাসুমকে সবার মাঝে ধরে রাখার জন্য সকলে মিলে কিছু করতে পারলে তবেই তিনি স্মরনীয় হয়ে থাকবেন সকলের মাঝে। তাই সরকার প্রধানসহ রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশ বরেণ্য এই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আমাদের দেশের এলাকার সম্মান বয়ে এনেছে। তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। মানুষ চলে যাবে এটাই সত্য কিন্তু তার কর্ম আজীবন বেঁচে থাকে। এই ফরিদপুর উপজেলার কৃতি সন্তান তিনি। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ তিনি। মাসুম আজিজ আজ বেঁচে নেই কিন্তু তার সৃষ্টিশীল অভিনয় শৈলী এখনো দেখতে পাই আমরা। তাই এমন একজন গুনি মানুষের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ করতে হবে আমাদের
সকলকেই।
অনুষ্ঠান শেষে প্রয়াত মাসুম আজিজের আত্মার সাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন মওলানা জহুরুল হক সাবেরি।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা স্মরণসভাতে উপস্থিত ছিলেন।
এবিএম ফজলুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার পাবনা অফিস
পাবনা
১৭/১০/২০২৩।