র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার, সক্রিয় গ্যাং, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও ধর্ষণ, প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-২,পাবনা, র্যাব-১২, এর বরাবর বিভিন্ন সময়ে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য নিয়ে লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পহেলা মে ২০২৪ তারিখে পাবনা জেলার সদর থানা এলাকায় সিপিসি-২,পাবনা র্যাব এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এর নেতৃত্বে অভিযান চালায় পাবনা র্যাব এর একটি আভিযানিক দল।
র্যাব-১২, সিপিসি-২,পাবনা এর চৌকষ আভিযানিক দল অদ্য ০১ মে, ২০২৪ তারিখ ১৬.২৫ ঘটিকায় কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান এর নেতৃত্বে পাবনা জেলার সদর থানাধীন টেবুনিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ১৭ (সতের) সদস্যকে আটক করা হয়।
উল্লেখিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা পাবনা জেলার সদর থানাধীন বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ও অলি গলিতে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালনা, উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্সে গান বাজানো, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের উত্যক্ত করাসহ নানাবিধ জনশান্তি বিঘ্নকারী অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছিল।
আটককৃত কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পাবনা জেলার সদর থানাধীন মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুনতাজ আলী, পিতা-মৃত ফজলুর রহমান, সাং-মজিদুর, থানা-পাবনা সদর, জেলা-পাবনা এর উপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো সতর্ক করতঃ পরবর্তীতে যাতে এ ধরনের জনশান্তি বিঘ্নিত অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত না হয় মুচলেকা গ্রহণ পূর্বক তাদের অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।