পিপ : পাবনার বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে মনোরমা সুত্রধর (৬৫) নামের বৃদ্ধাকে হত্যার পর স্বার্নলংকার লুট করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। এ সময় বৃদ্ধার কান ছিড়ে সোনার দুল, গলার চেইন ও বাড়িরর আলমারি ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। নিহত মনোরমা সুত্রধর বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নাটিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত দুত কুমার সুত্রধরের স্ত্রী। মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে নাটিয়াবাড়ি বাজার সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে হত্যারকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রথ যাত্রা শেষে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার নিজ বাড়িতে ফেরেন। সন্ধ্যায় প্রতিবেশি একমহিলা তার বাড়িতে প্রবেশ করলে বৃদ্ধাকে তার বিছানার উপর বস্ত্রহীন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে দেখতে পায় নিহতের কানের দুল, গলার চেইন,হাতের চুড়ি নেই এবং ঘরের জিনিসপত্র অগোছালো। নিহতের তিন ছেলে চাকরির সুবাদে সবাই ঢাকায় থাকেন। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন।
খবর পেয়ে সুজানগর সার্কেল রবিউল ইসলাম, আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আজ বুধবার লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের ছেলে সমিরণ সুত্রধর বার্তা সংস্থা পিপ‘কে জানান, আমার মা বাড়িতে একাই থাকতেন। আমরা তিনভাই ঢাকাতে থাকি। আমাদের কারো সাথে কোন শত্রুতা ছিলনা। কি কারণে আমার মাকে হত্যা করা হল এটা বুঝতে পারছি না। তবে আমার মায়ের ঘরে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল সবকিছুই নিয়ে গেছ দুর্বৃত্তরা।
সুজানগর সার্কেল রবিউল ইসলাম বার্তা সংস্থা পিপ‘কে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবেশিদের ভাষ্যমতে নিহত মনোরমা সুত্রধর মৃত অবস্থায় তার বিছানায় বস্ত্রহীন ছিল। হত্যাকান্ডের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তার শরিরে ধারালো কোন অস্ত্রের আঘাত দেখা যায়নি তবে গলায় হালকা আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে। ওই এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ দেখা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্ত তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিকেলে তারা পারিবারিবকভাবে শেষকৃত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যার আসল রহস্য জানা যাবে।