পিপ : পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া ফজিলাতুনেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি গঠন চার সপ্তাহের জন্য স্থগীত করেছে হাইকোট। এ ছাড়া অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত ম্যানেজিং কমিটি কেন বাতিল করা হবে না তার জবাব চেয়ে শিক্ষা সচিব, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক, পাবনার জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পাবনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শো-কজ ও রুলনিশি জারি করেছে।
পাবনা সদর উপজেলার টাটিপাড়া গ্রামের আলহাজ আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের এক রিট পিটিশনের (রিট নং ৬৫৭৮/২৩) পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সম্বনয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সোমবার (১৯ জুন) এই আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভুইয়া জানান, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল অনিয়মত্রান্ত্রিকভাবে গঠিত সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহা. সিদ্দিকুর রহমান খানকে সভাপতি করে ফজিলাতুনেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।
এই কমিটি গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন দাতা সদস্য আলহাজ আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস। হাইকোর্টের বিচারকদ্বয় এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়ার ফজিলাতুনেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি গঠনকে অবৈধ উল্লেখ করে তার কার্যক্রমকে চার সপ্তাহের জন্য স্থগীত জন্য স্থগীত করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত ম্যানেজিং কমিটি কেন বাতিল করা হবে না তার জবাব চেয়ে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ৮ জনের বিরুদ্ধে শো-কজ ও রুলনিশি জারি করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহা. সিদ্দিকুর রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, এখানো আমরা কোন আদেশ পাইনি। যদি এরকম আদেশ পাওয়া যায় তবে সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করবো।
রীট শুনানীতে বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল পাল। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট শেখ শফিউজ্জামান, সহকার অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মিসেস রেহানা সুলতানা, সহকার অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. সেলিম আজাদ ও সহকার অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মিসেস জুলফিয়া আক্তার।