দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য আগামী দ্বাদশ জাতিয় নির্বাচন আয়োজনের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ কোন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত যে কোন নির্বাচনের নামে প্রহসনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আয়োজনে আজ (১১ জুলাই, ২০২৩) বাদ যোহর, পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঢাকায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক জরুরী সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জনগণ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচন দেখেছে। ২০১৪ সালে অধিকাংশ বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে দেখেছে, ১৫৩জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার অভূতপূর্ব নজীর। ক্ষমতাসীনদের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস আর নির্বাচন কমিশনের উপর বিশ্বাস রেখে ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পেয়েছে কারচুপির নতুন সংস্করণ মধ্যরাতের ভোট। ফলশ্রুতিতে ক্ষমতাসীনরা নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে। আলোচিত দুটি নির্বাচনের মাধ্যমে একথা আজ প্রমাণিত সত্য যে বিরোধী দলগুলো কর্তৃক নির্বাচন বর্জন আর অংশগ্রহণমূলক যাই হোক না কেন ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে দল-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোই এখন পর্যন্ত সবচাইতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু ছিল বলে দেশের আপামর জনগণ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে। নেতবৃন্দ ক্ষমতাসীনদের নিকট একগুঁয়েমি পরিহার করে জনগণের দাবী মেনে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক কাজী আশফাক, নজরুল ইসলাম ও এড. আফতাব হোসেন মোল্লা, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদ খান, এড. হাবিবুর রহমান, এড. আবু সাইদ মোল্লা, ইঞ্জি. ওসমান গনী, মামুনুর রশীন, নুর আলম প্রমুখ।