বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আয়োজন করে দিতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন। আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বক্ষ ব্যাধির উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন থেকে বিরত থেকে বরং জরুরী ভিত্তিতে দেশের হাসপাতালকে উন্নততর করে, অতঃপর নিজ দেশেই চিকিৎসা সেবা নিয়ে আত্মমর্যাদা ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। অথচ আমরা শীর্ষ নেতৃত্বসহ এমনকি সাধারণ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাড়ি দেয়ার কৃষ্টি অনুকরণ-অনুসরণ করেই চলেছি। রাজনৈতিক নেতাদের নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি এমন অনাস্থা লজ্জাজনক হলেও এই পরিস্থিতি উত্তরণে রাজনীতিবিদরা মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেননি। রাজনৈতিক নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যাওয়াই প্রমাণ করে তাদের নিজেদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম এরকম কোন হাসপাতাল এখনো তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। এমতাবস্থায় তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধী দলীয় নেত্রী, বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান, সাবেক রাষ্ট্রপতি-বীরউত্তম মুক্তিযোদ্ধা-সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী, জীবনে কোন নির্বাচনে পরাজিত না হওয়া দেশের অন্যতম প্রধান নেতা রাজনৈতিক মামলায় গৃহান্তরীন অবস্থায় যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন তখন বারবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়েও পাচ্ছেন না। মানবিক বিষয়কেও রাজনৈতিক ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেই তিনি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না বলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আইনি জটিলতার অজুহাতে যে কোন জাতীয় নেতা-নেত্রী উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত ছিলেন এরকম কলঙ্কময় কোন দৃষ্টান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে না থাকুক। এরকম ঘটনা অদূর ভবিষ্যতে এক বিভীষিকাময় প্রতিহিংসা-পরায়নতার সূচনা করবে, যার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সকলকেই বহন করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কালিমা-মুক্ত থাকতে, দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিবিদদেরই বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের পক্ষে কাজ করা উচিত। করোনা-কালীন সময়ে যে প্রক্রিয়ায় এই ৭৮ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা রাজনীতিবিদকে কারাগার থেকে নিজ বাসায় প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে, সেই একই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসার্থে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি প্রদানে সরকার সক্ষম বলেই দেশের জনগণ বিশ্বাস করে।