সর্দিকাশি কমানো ছাড়াও লবঙ্গের আরও অনেক গুণ রয়েছে। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, শুধু লবঙ্গ মুখে দিয়ে কাজ হবে না। তার পরেও বিশেষ এক নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কাজ থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকালে দু’চোখে ঘুম নেমে আসার কথা। কিন্তু কাশির ঠেলায় কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না। কাশির ওষুধ খেলে ঘুম পায়। সকালে কাজে মন বসাতে পারেন না। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে লবঙ্গ খান অনেকেই।
এই মশলায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন ই, সি, এ, ডি, ফোলেট, রাইবোফ্ল্যাবিন, থায়ামিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সর্দিকাশি কমানো ছাড়াও লবঙ্গের আরও অনেক গুণ রয়েছে। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, শুধু লবঙ্গ মুখে দিয়ে কাজ হবে না। তার পরেও বিশেষ এক নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কী ভাবে খেতে হবে লবঙ্গ?
বিছানায় পিঠ ঠেকালেই কাশির দাপট বাড়তে থাকে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে মাত্র দু’টি লবঙ্গ রাখলেই কাজ হবে। তবে এখানেই শেষ নয়। এর পর এক কাপ ঈষদুষ্ণ জল খেতে হবে। রাতে দুধ খেতে সমস্যা না হলে তা-ও খাওয়া যেতে পারে।
কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি লবঙ্গ খেলে গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যাও কমে। দাঁত বা মুখগহ্বরের কোনও সমস্যায় ঘরোয়া দাওয়াই হিসাবে লবঙ্গ ভাল। মাইগ্রেনের কষ্ট দমন করতে অনেকেই লবঙ্গ খান। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও সাহায্য করে এই মশলা।