খালেদা দুর্নীতির দু’টি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি তাঁকে মুক্তি দেন।
দুর্নীতি মামলার সাজা থেকে মুক্তির পর প্রথম জনতার মুখোমুখি হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আবেদন জানালেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে দলের সদর দফতরের সামনে ভিড়ে ঠাসা জনসভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা বলেন, ‘‘আর ধ্বংস, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা নয়, ভালবাসা ও শান্তির সমাজ গড়ে তুলতে হবে।’’কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা পড়ুয়ারা শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটিয়ে ‘অসম্ভবকে সম্ভব করেছে’ বলে জানান খালেদা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের, যাঁরা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। শত শত শহিদকে জানাই শ্রদ্ধা। এ বিজয় আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।’’তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র এবং তরুণেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা ধ্বংস চাই না, শান্তি চাই। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। দীর্ঘ দিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি এবং গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপ থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’’প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকের পরই সোমবার রাতে সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন খালেদার সাজা মকুব করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করা হয়। মঙ্গলেই তাঁর পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করা হয়। খালেদা দুর্নীতির দু’টি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।